Thursday, November 9, 2017

সইছি অবহেলা

জলাঞ্জলি দিয়েই না হয়
নতুন কোন সকাল,
অনেক সন্ধ্যা যাক কেটে যাক
স্বপ্ন না হোক অকাল।
বারংবারই অপবাদ আর
মিথ্যে নিয়ে খেলা,
প্রভু তুমি দেখছই তো
সইছি অবহেলা।
ধৈর্য নিয়ে টিকে থেকে
হাসি মুখে হারা,
সময় আমায় মারছে যেন
সপাটে চাবুক দোরা।

Tuesday, October 31, 2017

গল্পে তুমি

গল্পে তুমি চাইছো যখন সবকিছুতে বিয়োগ,
হার না মেনে বারবারই আমি খুঁজি যাই সুযোগ।
চোখের ভাষা আড়াল করে যাই যে প্রতিদিন,
আমার প্রতিমুহূর্তের পরীক্ষাগুলো খুব যে কঠিন।
মোহের বয়সতো নেই যে আর ডুবে থাকব প্রেমে,
হৃদয় গ্রহে জায়গাটুকু তোমার যাবে না যে কমে।
স্বপ্নিল এক রাজ্যে গড়েছি আমার রাজমহল,
চাইলেই কেউ পারবে না, হতে দেবো না দখল।

Friday, October 27, 2017

ঘেন্না জাগে

ক্ষণে ক্ষণে মনে দামামা বাজে
বৃদ্ধ-জ়োয়ান যুদ্ধে জাগে,
শশান ঘাটের লাশ পুড়িয়ে
আমার তান্ডব থামে।

তোর মৃত্যুর পর ছিঁড়ে দেই
দুটি চোখের কোঠর,
তুই অপরাধী খুব তাই বলে মোর
ভাঙ্গে না রাগের জঠর।

তোর শেষ নিঃশ্বাসের পরেও কাঁটি
সারা সর্বাঙ্গ,
তবে যথাসুখের আশ্রয় ছিল
আমি পাশান অনুসর্গ।

ধ্বংসযজ্ঞ শেষে করে যখন
ছেঁড়া হাত পা কুড়াই,
মনে মনে খুব ঘিন্না জাগে
তোকে এভাবেই পাড়াই।

Tuesday, October 17, 2017

পাগল

শুকনো রুটির শক্ত লোকমায়
একটু খানি গুড়,
পথের ধারে স্বচ্ছ জলে
পিয়াস করলো দূর।
জরাজীর্ণ জামার ভাঁজে
হাজার তালি ছাঁপ,
পুরানো হাতের লাঠি
তার হাজার পরিতাপ।
একমনেতে হাসে আবার; এক মনেতে কাঁদে
ঘুমের জন্য পায়না জায়গা; ঘোরে রাত বিরাতে।
বাস্তুহারা সেই বুড়োকে ডাকত
কেউ বা পাগল,
কারো দেয়া খাবার পানিতে
সামলাতো না বার্ধক্যের ধকল।

Sunday, October 8, 2017

অনেক ভালোবাসি তোমায়

মরণটুকুও কেন পায়ে পড়ে কাঁদে
তবুও জীবন তুচ্ছ যেন প্রেম স্বাদে
ভালোবাসি তোমায়, খুব ভালোবাসি
তাই হয়ত তোমার দুয়ারে বার বার ফিরে আসি
কঠিন দিনে তুমি কেঁদেছো
আজ আমি কাঁদছি তোমার জন্য
ভালোবেসেই হোক জীবন ধন্য
তুচ্ছ আমি নিরুপায় হয়ে
মরে যাই বার বার তোমার লয়ে
খুব যে ভালোবাসি তোমায়,
যেখানে নিঃশ্বাসের শান্তিতে খুঁজি শুধুই তোমায়।
আমি অন্ধ আসিফ আজ,
তরল হয় আমার আগুন মেজাজ।
তোমার হাসিতে নিজেকে ডুবাই
তোমার হাসিতে সঁপে দেই
আমি তোমার কান্নায় জয় করি তোমারেই।
আমার অন্তর শুধু বন্দি তোমার সনে
কেউ না জানুক পাগল তোমার জন্যে।।।

Tuesday, September 26, 2017

রাত জাগা

উড়ছে তোমার চুল শুধু
ছুঁচ্ছে আমার গা
তোমার সকাল হাতে রেখে
আমার রাত জাগা

আমি নির্ঘুম তুমি ঘুমে
অবাক কিছু স্বপ্ন জমে
ভয় হয় শুধু যেন না থামে।

বেঁচে থাকি শুধু তোমার গানে
আর কিছু যেন না আসে কানে
জীবন শুধু থাকুক টিকে শেষ দানে

Saturday, September 16, 2017

শক্ত

খুঁটি শক্ত না করে যুদ্ধে নামার কোন মানেই হয় না। আর অসম প্রতিযোগিতাকে টেক্কা দেবার মত যোদ্ধা হইনি। তবে বসে থেকে ভাগ্যবরণ করতে ইচ্ছুই নই। যে কাউকেই মোকাবিলা করার ক্ষমতা রাখি।

Friday, September 15, 2017

তুমি আমার

তুমি আমার ঘুম
স্বর্গীয় প্রেমের চুম
তুমি আমার রাতের বৃষ্টি,
তুমিই আমার উম।

তুমি আমার জোনাক পরী
সকাল বিকাল সন্ধ্যা আলোড়ী
তুমি আমার একটু সুখ,
তুমিই আমার আদুরী।

তুমি আমার মিষ্টি সুখ
একরাশি হাসিতে ভরে বুক
তুমি আমার জগত স্বর্গ,
দেখি যখন তোমার মুখ।

তুমি আমার স্বস্তির নিঃশ্বাস
দূরে তুমি তবুও শক্ত বিশ্বাস
তুমি আমার ছোট্ট পাখি,
তুমি আমার গোলাপ একরাশ।

তুমি আমার শান্ত ছায়া
তোমার জন্যই জাগে মায়া
তুমি যে কেন যাও হারিয়ে,
তুমিই আমার চোখের হায়া।

তুমি আমার একটাই নদী
বাঁঁচবো যদ্দিন বইবে অবধি
তুমি আমার শঙ্খচুড়া,
তুমি আমার সবটুকু আমোদী।

তুমি আমার স্বর্গ সমান
হারাই যত মান সম্মান
তবুও তুমি আমার একটাই তুমি,
দিলাম তোমার এক জবান।

তুমি আমার একটাই আকাশ
রঙ্গিন চোখে সেই বুনো কাশ
শেষ দিনেও আমি একাই থেকে,
বুড়ো বয়সে করবো বাস।

৩.০২ দুপুর। সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭

Sunday, September 3, 2017

খেয়ালে


ছন্দের খেয়ালে পাইনি কবিতা
কথার খেয়ালে পাইনি গান,
তোমার খেয়ালে পাইনি "তুমি"
উচ্ছ্বাসের বদলে পাইনি প্রাণ।।
গল্পে কত না পাওয়ার সুর।
অবেলায় ডাকে শেষ নিঃশ্বাস; নদী কত দূর।

মনের খেয়ালে দেইনি মনোযোগ
স্বপ্নের খেয়ালে দেইনি অনুযোগ,
নিঃস্তব্ধতার খেয়ালে দেইনি পরিভোগ
ভুলের খেয়াল দেইনি অভিযোগ।।
কাব্যে কত বিরহের উপমা।
তুমি ছিলে স্বাভাবিক; আমার কষ্ট জমা।

আঁধারের খেয়ালে পাইনি সকাল
চাঁদের খেয়ালে পাইনি জ্যোৎস্নাবিহার,
র্নিঘুমের খেয়ালে পাইনি স্বস্তি
তাঁরা খেয়ালে পাইনি রুপোর হার।।
ছন্দে দুজনার ছিল অমিল।
শেষচেষ্টা হেলায় হারিয়ে; আজ তুমি আছো খুব অনাবিল।

অনুরাগের খেয়ালে পাইনি হাসি
অভিমানের খেয়ালে পাইনি সান্ত্বনা,
অনুতাপের খেয়ালে পাইনি ক্ষমা
অনুগতের খেয়ালে পাইনি মন্ত্রণা।।
উপন্যাসের শেষ অধ্যায়ে মৃত নায়ক।
প্রমাণ দিলো সে; ভালোবাসার পরিচায়ক।
(একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
৩/৯/১৭

Sunday, August 27, 2017

আত্মার অতঃপর

অহর্নিশির ছায়াতলে, হেঁটে বেড়াই আজ
অহরহ আতঁকে উঠি, নিজের অবয়বে।
অহিত হয়ে যাই, সুবিচার থেকে দূরে
অহংবাদী আমি, প্রেত্মাতা সেই কবে।
অহিংসা দেই চাপা, হয়ে উঠি পিশাচীমূর্তি
অহংকারী চিন্তা, জেগে উঠে ফের
অহংবোধ ভাঙ্গি না আর, মৃত্যুর পরও
অহি দংশে দিন রাত, কমাতে পাপের জের
অহর্নিশির ছায়াতলে হেঁটে বেড়াই আজও!
২৭/০৮/১৭

Wednesday, August 16, 2017

অচেতনে কি বোঝাই?

অচেতনে কি বোঝাই?
শুধু
বুঝিনা এই কথাই
কথাটুকু সময়ে বেঁধে রেখে
রেখে যাওয়া স্বপ্ন আজ পুড়িয়ে!
পোড়া আকাশটুকু আজ জড়িয়ে
জড়ানো সব স্মৃতিগুলো হারিয়ে
হারানোর প্রশ্ন আর কত?
কত করে বলে বুঝাই নিজের মত!!!

আকাশ পিপাসায়, মাটি খুব খড়া!
বুনো যাওয়া স্বপ্ন সব অধরা!

Wednesday, July 5, 2017

যান্ত্রিক যোগে

নিয়নের আলোতে যান্ত্রিক সুখ
পুড়িয়ে হৃদয়ের আবেগে,
শতক্রোশে বুনি স্বপ্নজাল
ক্ষয়ে যায় বাঁচার আগে।

চোখ বুজে কতশত
স্বপ্ন দেখার ঘোর,
এই বুঝি মোর স্বপ্ন ভাঙ্গলো
যান্ত্রিক কোন চোর।

স্বপ্ন দেখি ধুলোহীন পথে
আমার গড়া তাজ,
যান্ত্রিক মনে গড়ি আর ভাঙ্গি
এই প্রজন্মের কাজ।

স্বপ্ন দেখি কারো হাত ধরে
মেঠো পথ হাঁটি দুজন,
যান্ত্রিক যোগে একত্র হই
অপরিচিত তবু-ও কি সুজন?

Wednesday, June 28, 2017

নিরুত্তেজ প্রাণ

কপাট তোর বন্ধ যে হায়!
হারিয়ে যেতে শুধু যে মন চায়।
দূর দেশে এক ভিনগ্রহে,
শুন্য সেথায় প্রেম-মোহে।
একলা তুই আর আমি দোসর,
ফুল পাখি আর গানের আসর।
তোর ছন্দে থাকবে মুক্তির গান,
মৃদ্যুমন্দে গড়বে নিরুত্তেজ প্রাণ।
(২৮/০৬/১৭)

Sunday, June 18, 2017

দুঃ

দুঃশাসনের কপাট ভেঙ্গে, শক্ত হাতে যুদ্ধ,
দুর্দিনের শেকল ছিঁড়ে, আবার কারারুদ্ধ।
দুর্বিষহে জ্বলছে শরীর, পুড়ছে গায়ের পশম,
দুঃসহের চাবুকনামায়, কাটছে দিন আজ দশম।
দুর্বল হয়ে শরীর জুড়ে, বিষের কাঁটার দাগ,
দুমড়ানোহীন কয়েদি আমি, কমছে না যে রাগ।
দুর্বার আমার নিঃশ্বাস, রক্তিম শোকে ক্রুদ্ধ,
দুর্দমনীয় আমার জেদ, তাই বলে অবরুদ্ধ।
দুর্নিবার শেষের দিনে, আমার শরীরে ব্যধি,
দুপক্ষের যুক্তি শুনেও, আদালতে আমি অপরাধী।

Monday, May 29, 2017

তুমি ফুরায়ে গিয়েছো কবে

তুমি ফুরায়ে গিয়েছো কবে
আমিতো চলে যাব; বলে, থেকে রয়েছি এতক্ষণ
হারিয়ে যাবার গল্পে
কে আগে? কে পরে?
শুন্য আকাশ তলে আমি একজন, একা।
তোমারি আশাতে ছিলেম কত,
ভুল বুঝে শোনোনি,
আমি মিছে মিছে হারিয়ে পথ
নতুনে মিলেছি কবে।
তবু তোমাতে রয়ে গিয়েছি।
নতুনে ভুলি নাই।

Thursday, May 18, 2017

পাপ


নির্বোধ পাপীয়সী আমি, নিশ্চিত বিপথগামী
নিমগ্ন আছি কোন ভুলে, নিশ্চলে আমি।
নির্দিষ্ট সুখে চোখ বুজি, নিয়নের আলোতে
নিকটে বিষম বিপদ, নিয়তির আমোদে।
নিকষ কালো সামনে, নিশ্চিহ্ন মোর পরলোক
নিখাদ পূর্ণ্যে শেষ বয়সে, নিজ কল্যাণে করি যোগ।
নির্মল রাখতে কত চেষ্টা, নিপাত যেতে চাই না
নিষ্কলুষ থাকি বুড়োটে যখন, নিরাশ হয়ে যাই না।
নিরাপদ কি তরুণ বয়সে! নির্দোষ ছিলাম কি সত্যি?
নিয়মের বাহিরে থেকেছি কত, নিবদ্ধ ছিল না দস্যি।
নিখুঁত করে হয় না শুরু, নিষ্পাপ কতজনে?
নিদগ্ধ হয়ে বেঁচে মরা যেন, নির্বিষ প্রতিক্ষণে।
নিস্পন্দ বিবেকহীন আমি, নির্বাক কেন সময়ে?
নির্বিঘ্ন থাকি শত কোন্দলে, নিয়োগ হই প্রণয়ে।
নিশ্চুপ থাকি চারপাশ দেখে, নিমিত্ত ফলাফলে
নিখিল ভুবনে কত অশান্তি, নিহতরা আড়ালে।
নিয়মিত ধর্ম থেকে দূরে, নিকাশ করে অনেক পরে
নিরুপায় মন সান্ত্বনা খোঁজে, নিবেদিত মন সেজদা করে।
১৮/৫/১৭
(অসমাপ্ত)

Monday, May 15, 2017

স্মৃতিভ্রম

বীরদর্পে এগিয়ে চলা অশ্বারোহী জোহরা হারিয়ে গেছে,
ভালোবাসায় অতৃপ্ত বিলাসীও নেই,
অপুর হৈমন্তীর ইংরেজি কবিতার বইটা ঠিকই আছে; হৈমটা মরে গেছে।
টুনির সেই চঞ্চলতাও মরে গেছে, বেঁচে নেই।
ইব্রাহিম কাদ্রি, মৃত্যুঞ্জয়, অপু আর মন্তুদের কেউই পারেনি তাদের বাঁচাতে আর নিজেরাও বাঁচতে।
ট্রাজেডি থেকে আমিও পারি না নিজেকে উদ্ধার করতে। এখনও সেই চরিত্রগুলো ওলোটপালট করে দেয় সব।

Thursday, May 11, 2017

খেয়ালহীন

জগতহীন পথে চলাচল,
একা সে রাস্তায় নেই কেউ।
হারিয়ে গেছে সেই নাম
যে চেনা ছিলো সে-ও।
যাযাবরের জীবন শুরু তখনই,
বিদ্রুপের পাত্র সর্বদা যখনই।

ঘড়ির কাঁটার সহজ চলা
দেখতে লাগে ভালো,
সিক্ত চোখ সানগ্লাসে তার
ঢাকা চোখের কালো।
অন্তরণের বিপদ শিকল জড়ানো যে পা-য়,
অবাক করা যন্ত্রণারা মরতে না যে চায়!

ছুপিয়ে থাকা নিকষ কালো,
ছড়ানো না শান্তি।
তোমার তোলা গল্প ছিলো,
নিছক এক ভ্রান্তি।
আজও সবার আমি টুকু পায় না স্বস্তি,
কঠিন হিসাব করে আর হয় না দোস্তি।

ডুবে যাওয়া তরীটা আর,
জাগে না শতেক চেষ্টায়।
সমাধানের কঠিন পথে,
সত্যরা থাকে তেষ্টায়।
আজও ভাঙ্গে না রাতের দীর্ঘ,
তবু আশায় থাকি আসবে স্বর্গ।

ঘুমিয়ে থাকা জড়তাটুকু,
ভাঙ্গুক অনেক আগে।
বিমুখ থাকা চিন্তা সকল,
হৃদয় না কাটুক দাগে।
এখন আশায় বুক বেঁধে যাই,
যেখানে দুঃখরা কেউ নাই।
১১/৫/১৭ রাত ১২.২১

Sunday, May 7, 2017

বন্ধু তুই কই?

বন্ধু তোরে খুঁজি আজো
হারিয়ে গেলি কই?
আজ যে আমি খুব একা
সঙ্গীহীন রই।
তোর সাথে সেই বিকেল বেলা
খেলার মাঠে দেখা,
মাঝে মাঝে এক মনেতে
তোরই ছবি আঁকা।
আমি যখন বৃষ্টির দিনে
একলা আকাশ দেখি,
দরজায় তুই নাড়িস কড়া
আমি বলি সেকি।
নিজের তোয়ালে দিয়ে তোর
যত্নে মুছি মাথা,
তুই যে বলিস রাখ তো ছাই
শোননা আগে কথা।
কেরাম খেলায় হারতে যাবো
জিতিয়ে দিস আমায়,
রেড কভারে আমার খুশি
আছে কে যে থামায়।
আমার ভীষণ একলা দিনে
তোকেই খুঁজি রোজ,
কেন তুই হারিয়ে গেলি
নেসনা আর খোঁজ।
ইশকুলের সেই ফটক ছেড়ে
এলাম কলেজেতে,
নতুন বন্ধু খোঁজার তালেই
বছর গেলো কেটে।
শেষ বছরে অকারণেই
হলো ভীষণ ঝগড়া,
বন্ধুহারা কলেজ থেকেই
হলো বন্ধুর খরা।
কলেজ শেষে ভর্তিযুদ্ধে,
হলো নাতো ঠাঁই,
বিদ্যাপীঠের দ্বার বন্ধ হলো
পেলাম না রেহাই।
টাকার বলি পরলো যে হায়,
সহজ পিতার ঘাড়ে।
তবুও সে বন্ধু হয়ে
ফেরায়নি আমারে।
নতুন জীবনে নতুন করে
আবার বন্ধু খোঁজা,
ইসকুলেরই সেই সরল বন্ধু
পাওয়া কি এতই সোজা?
তার ছিলো না কোন চাওয়া
না ছিলো অভিযোগ,
আমার সকল কথার পিঠে
করতো না অনুযোগ।
পরীক্ষণের দিনগুলোতে
আমি যেন সবার ভাই,
বুকে জড়িয়ে কতো আবেগ!
তিন ঘন্টা পর কেউ নাই।
দরকারে যখন অস্থির আমি
কেউ এলোনা এগিয়ে,
তুই থাকলে ঠিকই আসতি
তোর অশ্রু পড়তো বেয়ে।
নুঁয়ে থাকা নিমের তলায়
তুই আছিস শুয়ে,
প্রতিবছরই আসি আমি
দেখতে তোকে অনুনয়ে।
মরে যাওয়া তুই আমার মাঝেতে
বাঁঁচবি সারা জীবন,
বন্ধুত্বের ঋণ চাই না শোধতে
শ্রদ্ধাবোধের স্মরণ।
৭/৫/১৭

Wednesday, May 3, 2017

ইতিবৃত্তি

কবি মরে কাঁটার বিষে, দেয় না আত্মাহুতি,
ধীরে ধীরে তার সব মরে যায়, নিঃশেষ হয় দ্রুতি।
ভাবনার স্রোতে একেক সময়, জোয়ার ভাটার টান,
চোখের সামনেই কত শেষ হলো, আহত খানখান।
থাকে না ভালো সময়গুলো, সহস্র অসমান,
যায় না শোধানো ভুল গুলো, নিশ্চলে সয় অপমান।
বিবাদী পারে না প্রমাণ মিলাতে, পারে না যুক্তি বুদ্ধি,
যা-ই বলে তাই মাথা পেতে নেয়া, একটু ভুলের শুদ্ধি।
আহত হৃদয় মুখোশ পড়ে, ভালো আছে সে খুব,
নিঁচু মাথা তাঁর অশ্রু মুছে, দেয় অন্যত্র ডুব।
নিরব হয়ে চলে যাবো যেদিন, থামবে কলমের কালি,
কন্ঠে আর বাজবে না গান, থাকবে যে ঘর খালি।
তাদের দাবীতে জীবন বাঁচাই, জীবন বাঁচাতে খুঁজি পথ,
আটকে আছি সত্য খুঁজতে, তাই বার বার থামে রথ।
আমার কি দোষ? মন তো মানে না, মানে না ক্লান্তিভক্তি,
কবে মিলবে এলোমেলো গল্প, পাবো সমাধান আর মুক্তি?
চিরজীবী হোক তাদের চলা, যারা পাছে টেনে ধরে আগে,
ক্ষমার্হ গুণে ধুয়ে দিয়ো ভাই, যদি হৃদয়ে কাটি দাগে।
ভয়ানক হবে সেই দিনগুলো, মরেও বেঁচে থাকবো,
না পারবো লিখতে কিছু, এক মনে হয়ত আঁকবো।
খোদা না চাহেন এমন দিন, না আসুক তকদীরে,
শীতল হাসিতে চক্ষু বুজবো, শত মানুষের ভীড়ে।

Saturday, April 29, 2017

অশেষবিধি


রক্তে আমার যুদ্ধের বিষ
উষ্ণ আমার নিঃশ্বাস।
উর্বর আমার দুই চক্ষু,
চাবুক ছটায় জর্জরিত বক্ষ
উত্তপ্ত আমার শাণিত দৃষ্টি,
শক্ত প্রতিরোধে রক্তের বৃষ্টি।
তবে আমি থামি; ধৈর্য্যের প্রতিফলে
আমি কাটাই আমার ক্ষিপ্রতা যত; কলাম লেখার বলে।
আমি দুর্বিনীত অশেষবিধি, বিপত্তিরই সুরে,
আমি সবার চোখের বিষাক্ত জাল; হটায় বহুদুরে।
আমি কতেক সময় অনেক বুঝি, কতেক সময় বলি
বলার জন্য শতেক বারই, একঘরতে চলি
তোষামোদের মধুর বাণী, আমায় দিয়ে হয় না।
বাজনা বাজাই আপনি ভালো, তেনার মত হয় না!!!
দিন শেষে মঠের ঘরে আমি ফিরে যাই,
রক্তের আগুন ধীর সুচিয়ে কলমে লাগাই।
২৯/৪২০১৭
(নজরুল স্মরণে আমার দ্বিতীয় কবিতা।ভালোবাসা আর শ্রদ্বা রইলো মহামানবের প্রতি)

Tuesday, April 25, 2017

কয়েদি

অনুসৃত অধমতায় বিব্রত নিজের সর্ব,
সমালোচিত আবহের শুরু হলো আরেক পর্ব।
বিনীত মনুষ্যত্ব মেনে নেয় না অপবাদ,
সেটুকু ঘৃণা করো তারে যেটুকু আছে খাদ।
ঘুচাতে দিও সময় তারে,
বাচঁতে দিও তারে পূর্ণ অভিসারে।
কারাগারে ছুড়ে দিয়ে দায়মুক্তির গল্প,
সুন্দ্রীলীয় দিন খোঁজা শুধুই জল্প।
স্বজাতিরা নিঁচু হয়, অপরাধ ছাড়া হায়!
বিচারক মাপে দোষ, যাবে ডানে নাকি বা'য়।
কলমের জোরে কত মানুষ বাঁচায়।
নির্দোষী পরে রোষে বাঁচিবার পথ খোঁজে,
যাবে কই? কোন পথে? খুঁজে ফেরে সহজে!
ক্লান্তির মুক্তি হয় না যেমন,
টিকে থাকার যুদ্ধে কয়েদিও তেমন।
অন্যায় থেকে দূরে থেকেও অপরাধী সেতো,
সমাজের ধিক্কারে কয়েদি ম্রিয়মাণ ততো।
বিচারহীন শিকের ফাঁকে, সুবিচারের খোঁজ,
আদালতের হেয়ারিং হবে, একই সুর রোজ।
হাতজোড় করে মাঙে মুক্তি,
জজের প্রতি মিথ্যে ভক্তি।
কমলাকান্তের গল্পেই চলে এখন সবকিছু,
কষ্ঠকাঠিন্য ছাড়ে না যেন সুবিচারের পিছু।
মিথ্যা সাক্ষী আর টাকা এক গাদা,
খুবই সোজা কারো প্রতি নতুন গল্প ফাঁদা।
ধর্মের শিক্ষায় সবারই আছে শেষ বিচারের তাড়া,
তবুও কেন সবার মাঝে ধর্মের দূত মরা?
২৫/৪/১৬ ইং

সুপ্রসন্ন তুমি দূরে

সুপ্রসন্ন তুমি দূরে,
অনুমতিহীন ভাবে যখন তুমি মিথ্যে বলো,
অপ্রকাশ্য তোমার কপটতার ঝুলি
অমিমাংষীত তোমার সহানুভুতি; তোমার বিচার,
তুমি ছিলে সংক্ষেপিত আলোর ঝিলিক মাত্র
এক মুহুর্তের জোনাক, বিমূর্ত করা এক শীতল বিজলী,
হঠাৎ হাসি-কান্নার সহচর; দেখোনি চেয়ে একবারও বর্তমানে,
আমি যে এক রাশ উচ্ছাস ছিলাম, এখন নির্জীব প্রতি পানে
তবুও এই আবহে যেন আমি বদলাই, যেন নতুন করে শিখতে পারি,
নতুন করে নিঃশ্বাস নিতে পারি; নতুন করে, আবারই নতুন করে।

নির্ঘুম রাতের পর্ব

অল্পতেই বিশ্বাসের উন্মাদনা আমার!
ক্ষণিকের প্রশান্তি; অতঃপর তাহার প্রস্থান,
নির্ঘুম রাতের পর্ব শুরু!
খানিকটা বিষঃন্ন, অদ্ভুত আমার আচরণ,
অন্ধকারের এক কোণে।
সাদা দুটো মার্বেল হাতে; বাহিরের আলো দেখার চেষ্টা!
চুলগুলোতে চোখ ঢেকে আছে, একপাশে সরাবার শক্তিও নেই।
এভাবেই প্রতিদিনের আলো দেখার চেষ্টা ব্যর্থ হয়; আমার!
প্রতিদিন......প্রতিমুহুর্তে......প্রতিক্ষণে্‌......!
অসম এক ক্রান্তিকাল.........!

Monday, April 24, 2017

"অ" এর গল্পঃ

অলীক স্বপ্নজালের অবাধ বিস্তার্য,
অসময়ের ভুল "তুমি" নিমিষেই পরিতাজ্য।
অমর হয়ে যায় তাঁর প্রথম আবেগ,
অসীমতটে বন্দী তাঁর পুরো বেগ।
অকূলে ভাসে আসামী যিনি,
অকাট্য অভিশাপে জর্জরিত তিনি
অমলকৃষ্ণ হয়েও সফেদ তার মন,
অভাগিনী কেন তোমার অদ্ভুত আস্ফালন?
অধীর ছিলে কতটুকু জানে না তো কেউ,
অশান্ত ছিলো জানি তোমার প্রেম ঢেউ!
অদখলে রাখি নিজের আত্মা সর্বস্ব,
অসম প্রেমেতে যেন না হয় নিঃস্ব।
অহেতুক আচরণ ছিলো না এথায়,
অতৃপ্ত তুমি এখনো চিৎকারে বৃথায়।
অবুঝ তুমি ভুগছো মন্থরতায়,
অসীম উত্তাল; হৃদয় ভাঙ্গার বাস্তবতায়।

১৮/০৫/১৭ইং

Friday, April 21, 2017

ওনার প্রস্থান

ঈশ্বর ভক্ত হুজুরের আত্মীয়টা অবশেষে আমার উপস্থিতি টের পাইয়া জায়নামাজ খানা গুটাইলেন। তির্যক চোখে চাহিয়া দৃষ্টি আকর্ষণের ব্যর্থ চেষ্টার পর আরাধনালয় ছাড়িয়া অন্যত্র চলিয়া গেলেন। নামিয়া যাওয়ার সময় আপনার মুখ দেখিয়া বুঝিলাম, যতগুলো "মিথ্যাত্মা"র জন্ম আপনি তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে দিয়াছেন, তাহা শুধাইতে মাথা ঠেকাতে আসার পথে আমিই যেন আপনার মাথা আগে ভাঙ্গিয়া দিয়াছি। প্রভুপরায়ণও ক্ষমার্হ চোখে দেখেন কিনা, তা তিনিই ভালো জানেন।

Thursday, April 20, 2017

ইমেজ বাঁচানো

ভুল শোধরানোর জন্য মানুষ সুযোগ চায়। তবে কেউ যদি ভুলই না করে, মানুষ নিজের কল্পনা দ্বারা ভুল বোঝার চেষ্টা লিপ্ত থাকে, সন্দেহ করে বা শেষ পর্যায়ে অপমান করে বসে। সেইক্ষেত্রে তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে আসাকে নিজের "ইমেজ বাঁচানো" বলে। এই সরে আসার নীতি বাদীকে প্রথম পর্যায়ে কোন ঝামেলায় না ফেললে শেষ পর্যায়ে বাদীপক্ষ ঠিকই শুণ্যতাটুকু বুঝতে পারে। ক্ষুদ্রতর থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিশৃঙ্খলা মোকাবেলায় তাঁকে দেখা যায় না। শক্ত হাতে দমন করাটা যখন সবার কাছে ডিক্টেটরি ছিলো, এখন বিশৃঙ্খল উপরাজনীতি যেন শান্তিপূর্ণ আবহ!

Saturday, April 15, 2017

হাসপাতালে যখন

পাথরে মোড়া শক্ত শরীর
দুহাত যে নিথর,
চোখের কোণে জল নিমেষেই মুছে
অবাক অনাদর।
জীবন্ত শোক ক্যানভাসে ভাসে
রুদ্ধ ক্লান্তিকর।
হাজার আত্মা কেঁদে ভাসে
হাসপাতালের মর্গে
অনেকদিনের হিমে রাখা
যাবে সে কি স্বর্গে?
এত যন্ত্রণা কেন হেঁটে বেড়ায়
চারপাশের আমার,
ঘুমের মধ্যে কত মানুষের মুখ
দেখা দেয় বারবার!
সকালের সুন্দর দিনে
আমি খুব পরিপাটি,
খাবার টেবিলে আমার পাশে
বুড়োর প্লেট খালি!
শুকনো রুটি মুখে রেখে
লোক দেখানো সুখী সাজে,
আমার পাতের খাবার দিলে তাকে
অনেক খুশিতে কেঁদে হাসে।
অপারেশন থিয়েটারে মা-বাবা
থাকে আমার পাশে
বৃদ্ধজন একাই থাকে
ওয়ার্ডবয় ছাড়া কে আসে?
14/4/2017 7.19 pm

Thursday, April 13, 2017

জীবন

জীবন???
সে তো অনন্ত নদী,
সে যে দেয়ালহীন আকাশ,
কিংবা বিরামহীন বাতাস,
সে তো কিছু সুখ-দুঃখের সমষ্টির সম্মেলন,
কারো কাছে শুধু বেঁচে থাকা,
কারো আবার হাজারো দীর্ঘনিঃশ্বাসের মিছিল।
কারো কাছে ভয়কে জয় করা,
কারো আকাশচুম্বী হওয়ার তেষ্টা!
এটাই জীবন!

Wednesday, April 12, 2017

প্রতিমূর্ত প্রাণ

ঈশ্বর শুধু তোমার চাওয়া গন্য করলো
সর্বদা সুখের মন্ত্র অকার্যকর আমার শত চাওয়াতেই,
দ্বিমগ্ন হয়ে নিদারুণ কর্তব্য পালন আমি চাই না
তাই হয়ত হারিয়েছি "তুমি" দমকা এক হাওয়াতেই।
আমি পালহীন নৌকা; ঢের জানি
নিঃশঙ্কচে হারিয়ে যাবার ইচ্ছেটাও গভীর,
জোয়ার ভাটার সেই ভালোবাসা আজ ধোঁয়াটে
রঙ্গহীন কাব্যে সব উপাদানও স্থবির।
যে শহরে নেই "তুমি", আছে হারাবার গান
সে শহর বিষাক্ত-বিভ্রান্ত, অনুভূতিরা ম্লান।
দুয়ারে দুয়ারে কড়া নেড়ে ফিরে গেছি কত আগে।
খোলোনি দুয়ার, নিরব থেকেছি, হৃদয় কাটলো দাগে।
ভাল থাকার মন্ত্র জানি, জানিনা সুখী কিনা
ভালো বলেই আমরা কেন বাজাই বিরহের বীণা!
নিত্য সুখীরা দম্পতিময়, দম্ভ থেকেও কম কি?
অব্যক্ত আমি সবখানেই, রুদ্ধতাপে বন্দি।
নই আমি ধর্মরাজ্য নইবা মহাপুরুষ
বিষের বাঁশী প্রতিক্ষণে যেন বাজে,
শক্তিধর আমি যেন নিঃস্পৃহ মাঝে মাঝে।
সেদিনের কথাগুলোতে ছিলো না অগোছালো ভঙ্গি
ছন্দপতন এড়িয়ে যাওয়ার খেয়াল ছিল,
আনমনা ভাব থেকে দূরে ছিলাম
স্থির আর আমার মাঝে থাকতো অসীম মিল।
অবাক করা প্রশ্নবাণে আমি নিঃশ্চুপ
দীর্ঘ হচ্ছে আমার মুহুর্ত,
শেষ বিকেলের গ্লানিটুকু এড়িয়ে যাই
শতেক অনুভূতি তাপে আমি এখন প্রতিমূর্ত।

Monday, April 10, 2017

একা

দিন-খন একা যার
নির্ঘুম একা তার
যখন বিছানায় পড়া,
কথাহীন কাব্য,
অলিখিত শ্রাব্য
যখন আমি আধমরা।
চেনা সুখ অচেনা
অপেক্ষারা ঘোচেনা
কবে যাবো বাড়ী।
সুন্দর সুস্থ
সকাল কবে দেখবো
দেখবো কাজের সারি।
ব্যস্ততা ভালো রাখে
সব থেকে খুব,
অশান্তির মৃতমেলা
থেকে দেয় ডুব।

Saturday, April 8, 2017

আকাশ দেখা

চলার পথে থমকে যাওয়ার আগেই
উপরে তাকাই...!!!
আকাশ দেখি; শূন্যতার পর ছাদ হয়ে সবাইকে আগলে তো সেই রাখছে। এটাই তার বিশালতা!!!

Sunday, April 2, 2017

ঈশ্বরের অষ্টাদর্শী প্রাণী

ঈশ্বরের সৃষ্টিধর এখনও বিস্ময়ের জন্ম দেয়!
বিস্মিত করা কিছু সৃষ্টি ঈশ্বরের কপোট প্রেমে মগ্ন!
দুনিয়ার সামনে সুচারু সাজে, অসহায়ের কান্না কাঁদে প্রতি আপদে।
নিমগ্ন থাকে অহেতুক অনুতপ্তে। নিঃসঙ্গতা কাটাতে মাথা মোটা প্রাণী খোঁজে। প্রয়োজন শেষে দু'লাইন লেখা কাগজের মত মুচড়ে পেপার ডাস্টবিনে ছোঁড়ে। চিকন বুদ্ধি দিয়ে মাথা মোটাকে বশ করে, কথার যুক্তিতে শক্ত রাখঢাক রেখে মাথা মোটাকে পরাস্ত করে।
আমি ঈশ্বরের সিজদা না করে নরকের বাসিন্দা আর তুমি অষ্টাদর্শী প্রাণী খোদার বন্দনা করে চলে গেলে স্বর্গে...

Monday, March 27, 2017

দরিয়ার গর্জন

দরিয়ার গর্জন বড় ভয়ানক।
ক্ষুধিতের রোনাজারি যায় না তোর কানে,
সাবধানী বাণীঅর্চনা সাচে না তোর দিলে!
তবে প্রস্তুত হও; নওজোয়ানির দল আসছে তোর দিকে,
ঘৃণাস্পদ নিবিড়তা শুধু তোরই দিকে!

Sunday, March 19, 2017

অন্ধ

নিয়মের বাইরে যেটুকু পথ খালি চোখে দেখা যায়,
আমি হয়ত তার থেকেও বেশী দূরে চলে এসেছি।
অসীমতাকে পুঁজি করার সাহস পাইনি; মধ্যবিত্ত বলে। এখনকার পথ কঠিন নয়, তবে অভিজ্ঞতাজনিত অবচয় বেশি। ক্ষণেক্ষণেই অপ্রয়োজনীয় স্থবিরতা থামিয়ে দিতে চায় উদ্দীপনাগুলোকে। অবহেলাপূর্ণ টিপ্পনী সয়ে গেছে যেন খালি মানিব্যাগের দূর্বলতার কারণেই।
কিশোর থেকে তরুণে; বিশ্বাসবোধের ধাক্কা গুলো সামলে নেয়া দুষ্কর; নিচ্ছিও। বিচ্ছিন্নতাবোধ জাগাতে চেয়েও পারিনি, সমাজ বিমুখ আমি কেন হবো? ঠিকরে যাওয়া অনুভূতিজাত মন কাঁতরে ওঠে, মুর্হু মুর্হু সংশয় কেন? শক্ত সময়ে একাকী যুদ্ধের কোন নাম আছে কিনা জানি না।
দুঃশ্চিন্তা আর উত্তেজনার মাঝেও নির্বিষ আমাকেই গালমন্দ শুনতে হয়। কারণ উত্তর দেয়ার মত চাতুর্য নেই; ধন্যবাদ ঈশ্বর তোমায়, না দেয়ার জন্য। অনেক অর্জনের পরও শুনি আমার এক ফোঁটা কঠিন পাপ হয়েছে। আর এক ফোঁটা অর্জনের বিনিময়ে পুরোটা দাবী করায় আমি অবাক হয়নি; উঁচুজাতের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য।
খাতা কলমের জোর নেই তেমন একটা। বইভিত্তিক লেখাতে হেরে যাই প্রতিবারই। অভাব কিসের? কৌশলের। যা সবাই তৈরী করতে জানে না। আমিও না।
মাথা ঠেকাতাম আগে ধর্মের কোলে। শান্তির আশ্রয়ে। নির্জীবতার পরে কিছু স্বস্তিও পেতাম, হয়ত এটা ধর্মবোধের স্বাদ। কিন্তু মিথ্যাচার তো সবখানেই। ধার্মিকরা যে আরো বেশি। দোষ ধর্মের না, ধর্মগুরুর।
অন্ধকারময় কোন জগতে আছি, যেখানে আলোর ঝিলমিলে দরুণ আমি দৃষ্টিহীন। অতিরঞ্জিত আলোও অন্ধ করে দেয় মানুষকে। সমাজ নামক কলকারখানার সংজ্ঞায় সচেতন অনুভূতিপূর্ণ মানুষ "অন্ধ"।

Tuesday, March 7, 2017

ঈর্ষান্বিত নই

ঈর্ষান্বিত নই। শুধু ঈশ্বরভক্ত প্রাণীদের অসম আচরণের প্রতিযোগিতা থেকে আমি দূরে থাকতে চাই। ঈশ্বরের মঙ্গলময়তা নিয়ে তোমরা শান্ত থাকো। ভাগ বসানোর নিয়ত নেই। আমিও ঈশ্বর ভক্ত! কতটুকু? তিনি জানলেই হবে। আমি শুধু জানি আমি সুশ্রী শঠামির মধ্যে নেই। আমি ধর্ম যাজক নই। বিধান বুঝি না। সাধারণ থেকে অসাধারণ হতে চাই না বিধানজ্ঞ হয়ে। শেষ নিঃশ্বাসের আগ পর্যন্ত প্রতিটি নিঃশ্বাসকে সত্য রাখতে চাই, সিংহপ্রাণ থাকতে চাই, সঞ্জীব হতে চাই!

Saturday, February 25, 2017

আমি অধঃ

আমি অধঃসুখে উচ্ছলিত,
আমি অধঃনেশায় উন্মেষিত।
আমি অধঃজ্বালায় গ্রাস,
আমি অধঃনিঃশ্বাসে ধুপের তাস।
আমি অধঃক্রমে চলি,
আমি অধঃনিয়মের বলি।
আমি অধঃপাতে খন্ডিত,
আমি অধঃদন্ডে দণ্ডিত।

Thursday, February 23, 2017

বিমুঢ়তা

ভুল জানালায় হাত বাড়িয়ে,
যায় না ছোঁয়া চাঁদটাকে।
চেনার ভুলে বিশেষ বিভ্রাট,
কেন চলি অসম বাঁকে।

মোহের শেকল দেখতে হলো,
মরে যাবো তোমায় ছাড়া।
তুমি আমার সব কিছু,
অভিনীত তোমার দ্বারা।

পেছনের মানুষ এলো ফিরে,
কিংবা ব্যস্ত আছো কোন কাজে।
বর্ণহীন ছিলে আগে,
সেজেছো এখন নতুন সাজে।

সেকেলের আমি এখনো ধাঁধায়,
তুমি সত্য নাকি অভিনেয় কাব্যের সংকলন।
অনেক রুপান্তরের প্রতিমূর্তি যে,
নাকি সমগ্র ভালোবাসার সম্মেলন?

বিমূঢ় আমি বিভ্রান্ত পথিক,
হয়ত অনেক কিছু দেখার বাকী,
শেষদৃশ্যের অপঘাতী আক্ষেপ,
যেন গায়ে না মাখি।

দমকা হাওয়া

নিজেকে অগোছালো করে দেয়ার আত্মঘাতী শক্তির উত্থান যখন তখনই জাগে...
চোখ বন্ধ রাখি কিছুক্ষণ, দীর্ঘ নিঃশ্বাস নেই
সুউচ্চ মিনার থেকে দূরে তাকাই।
আক্ষেপের তৃষ্ণা জাগছে না এখনও,
হঠাৎই ঘুর্ণি বাতাস এলোমেলো করে দেয় আচঁড়ানো চুলের ভঙ্গি।
অদৃশ্য হয়েও উদ্দামতা জাগায়!
বাতাস; তুমি প্রাণ। নিঃশ্বাসের গন্ধ তোমার কাছ থেকেই পাই!!!

Wednesday, February 22, 2017

রাজনীতির ভাত

আমরা বাঙ্গালী জাতি হিসেবে প্রতিবাদী তবে যথার্থভাবে অধিকার আদায় করতে শিখিনি। অধিকার আদায় করার মূলমন্ত্র চাহিদার সাথে সংযুক্ত বিষয় আর সামাঞ্জস্যতা থাকা। আমাদের '৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে '৭১ মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত আমাদেরই জয়জয়কার ছিল। কারণ দাবিগুলো ছিলো প্রাণের দাবি আর তাতে সামঞ্জস্যতা ছিল। তাই বাঙালীর জয় হয়েছে। আরো পুরোনো ইতিহাস যেমন পলাশির যুদ্ধ, ফরায়েজী আন্দোলন, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা ইত্যাদিতে আমাদের কাঠামোগত ভিত শক্ত ছিল না। ঐ সময় কিছু মানুষের বেইমানির কারণেরও বাঙ্গালী জাতি হারতে বাধ্য হয়। সেই বেইমান এখনও বিরাজমান। এখনও আমরা একপ্রকার নীলকরের শাসনে শাষিত-শোষিত। অধিকারের পক্ষে লড়াই করা বন্ধুরা যখন শাসকের দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন আমরা প্রভুর কাছে প্রার্থনায় চোখ ভিজাই, কিন্তু সামনে এগিয়ে আসার কোন চেষ্টা করি না। তখন এক এক করে আমাদের কথা বলার মানুষ আমরা হারাই। আর তরুণ প্রজন্মকে ডাইভার্ট করার জন্য তো প্রযুক্তি আছেই। কল রেট কমিয়ে দিয়ে, কম টাকায় ইন্টারনেট প্যাকেজ দিলেই তারা খুশি। সামনের দিন গুলো অনেক ভয়ানক যখন তরুণেরা তাদের দেশের অভ্যন্তরের খবর না জেনেই বড় হবে। নানান ধরনের চুক্তি আর বৈদেশিক ঋণে জর্জরিত জাতি একদিন আফসোস করবে কেন আরো দেশকে ভালোবাসলাম না? কেন দেশের প্রতিটি ব্যাপারে সজাগ হলাম না? সব কথা রাজনীতির মারপ্যাচে ফেলেই জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে আর আমরাও ঝামেলা মনে করে দূরে থাকছি।

#শেহজাদ_ম্যাক

ভাষা আমার

সেদিন অধৈর্যের ক্লান্তি ফেলে,
প্লাকার্ড-ব্যানার হাতে নিয়ে।
একসাথে স্লোগান ছিলো
শক্ত লোহার দেয়াল মাড়িয়ে।
রাতভর ধরে ব্যানার লেখা,
চায়ের কাপে ঘুমকে ভাঙ্গা।
দরাজ গলায় গানের লাইনে
অলস সবাই হতো চাঙ্গা।

ওরা প্রস্তুত ছিলো অনেক আগে
জিন্নাহ'র ভাষণে জ্বলতো রাগে।
মায়ের ভাষা নেবে কেড়ে, এমন সাহস দেখায়।
রক্ত চক্ষু শক্ত করলো, শতেক নবীন প্রাণ
ওরা দূর্বার যেন সবখানেতে, উর্ধ্বমূখী শেখায়।

এক চুয়াল্লিশ ভাঙ্গাবো বলে
নামলো সকালবেলা
ভয় তাড়িয়ে মেডিকেলে
জড়ো নবীন মেলা।
বাঁচবো কিনা মরবো জানি
বাংলা বাঁচাবো বলে
ভালোবেসে এগিয়ে গেলাম
টিয়ারগ্যাস-বুলেট ঠেলে

মায়ের ভাষা নেবে কেড়ে, এমন সাহস দেখায়।
রক্ত চক্ষু শক্ত করলো, শতেক নবীন প্রাণ
ওরা দূর্বার যেন সবখানেতে, উর্ধ্বমূখী শেখায়।

সালাম-বরকত জব্বারসহ
নাম না জানা কত!
কতেক আবার আর্মির হাতে
উধাও হয়ে গত
চোখে জলে মলিন সেদিন
ভুলে গেছি কি আজ?
একুশ মানে রংচঙিয়ে
সাজি নতুন সাজ!!!

মায়ের ভাষা নেবে কেড়ে, এমন সাহস দেখায়।
রক্ত চক্ষু শক্ত করলো, শতেক নবীন প্রাণ
ওরা দূর্বার যেন সবখানেতে, উর্ধ্বমূখী শেখায়।

সবখানেতে বাংলা বুকে
বাংলা মোদের প্রাণ
তবুও কেন দূর হয়নি
ভুল বাংলার অবসান?
ইংরেজ ভাষা এত পারি
বাংলাতে করি ভুল,
এসব নিয়ে বললে কথা
বিবাদ হয় তুমুল।

মায়ের ভাষা নেবে কেড়ে, এমন সাহস দেখায়।
রক্ত চক্ষু শক্ত করলো, শতেক নবীন প্রাণ
ওরা দূর্বার যেন সবখানেতে, উর্ধ্বমূখী শেখায়।

শহীদ প্রাণের আত্মার প্রতি
কামনা মাগফিরাত,
যেতে যেতে শিখিয়ে গেছে
করতে প্রতিবাদ।
ঊনসত্তর আর একাত্তরের
বীজ বুনে গেছে তাঁরা।
আজ ভাষা স্বাধীন; দেশ স্বাধীন
স্বাধীন বাংলা সারা।

ওরা প্রস্তুত ছিলো অনেক আগে
জিন্নাহ'র ভাষণে জ্বলতো রাগে।
মায়ের ভাষা নেবে কেড়ে, এমন সাহস দেখায়।
রক্ত চক্ষু শক্ত করলো, শতেক নবীন প্রাণ
ওরা দূর্বার যেন সবখানেতে, উর্ধ্বমূখী শেখায়।
(ভাষা শহীদদের স্মরণে একটি কবিতা লেখার চেষ্টা মাত্র)

২১শে ফেব্রুয়ারিতে লেখা একটি কলাম

আমরা বাঙ্গালী জাতি হিসেবে প্রতিবাদী তবে যথার্থভাবে অধিকার আদায় করতে শিখিনি। অধিকার আদায় করার মূলমন্ত্র চাহিদার সাথে সংযুক্ত বিষয় আর সামাঞ্জস্যতা থাকা। আমাদের '৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে '৭১ মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত আমাদেরই জয়জয়কার ছিল। কারণ দাবিগুলো ছিলো প্রাণের দাবি আর তাতে সামঞ্জস্যতা ছিল। তাই বাঙালীর জয় হয়েছে। আরো পুরোনো ইতিহাস যেমন পলাশির যুদ্ধ, ফরায়েজী আন্দোলন, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা ইত্যাদিতে আমাদের কাঠামোগত ভিত শক্ত ছিল না। ঐ সময় কিছু মানুষের বেইমানির কারণেরও বাঙ্গালী জাতি হারতে বাধ্য হয়। সেই বেইমান এখনও বিরাজমান। এখনও আমরা একপ্রকার নীলকরের শাসনে শাষিত-শোষিত। অধিকারের পক্ষে লড়াই করা বন্ধুরা যখন শাসকের দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন আমরা প্রভুর কাছে প্রার্থনায় চোখ ভিজাই, কিন্তু সামনে এগিয়ে আসার কোন চেষ্টা করি না। তখন এক এক করে আমাদের কথা বলার মানুষ আমরা হারাই। আর তরুণ প্রজন্মকে ডাইভার্ট করার জন্য তো প্রযুক্তি আছেই। কল রেট কমিয়ে দিয়ে, কম টাকায় ইন্টারনেট প্যাকেজ দিলেই তারা খুশি। সামনের দিন গুলো অনেক ভয়ানক যখন তরুণেরা তাদের দেশের অভ্যন্তরের খবর না জেনেই বড় হবে। নানান ধরনের চুক্তি আর বৈদেশিক ঋণে জর্জরিত জাতি একদিন আফসোস করবে কেন আরো দেশকে ভালোবাসলাম না? কেন দেশের প্রতিটি ব্যাপারে সজাগ হলাম না? সব কথা রাজনীতির মারপ্যাচে ফেলেই জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে আর আমরাও ঝামেলা মনে করে দূরে থাকছি।

Saturday, February 18, 2017

আমি "বি"


বিমুগ্ধ রঙ্গের অনুভূতি আমি হারিয়েছি,
বিপণী হয়ে চলে গেছে অনেক দূরে।
বিবিধ হয়ে যতটুকুই আছে,
বিদগ্ধ তারা মহাসুরে।

বিমুখী হই জীবনঘন শত প্রশ্নে,
বিপথগামী মিথ্যের পায়চারি চলছে বলে।
বিমোহীত আমি তোমার ছলনায়,
বিরোহী আমি তোমার অট্টরোলে।

বিনাশী নই তবুও আমি,
বিবাগী আমি তোমার রুপের আলোতে।
বিনম্র আমি তোমার কাঁজল আঁখিতে,
বিংসাদী তোমার চুলের দোলাতে।

বিলীয়মান এসব শুধুই মোর কল্পে,
বিনশ্বর সবই আমারই ভেতর।
বিচলিত শুধু অনাকাঙ্ক্ষিত একাকী বলে,
বিক্ষিপ্ত আলোর নিঃসঙ্কোচে ক্ষরণ.....।।।

Friday, February 17, 2017

আমার অনু

অনুতাপের অগ্নিদাহ জ্বলে অন্তরে,
অনুশাসনের শক্ত রশি বাঁধে মোরে।
অনুযোগের অনুমতি নিয়েও যেন নেয় না
অনুমিত আচরণেও শতেক ভুলের যন্ত্রণা
অনুগত আমার দর্শন, অন্য কাউকে পাইনা
অনুনয়ীর কথা বলে দেখি, মিথ্যে বন্দনা
অনুধাবিত আমার আকাশে, বিক্ষুদ্ধ মেঘে ভরা
অনুমেয় হিংস্র আমি, মানুষের মন গড়া।
অনুক্ষণে শোধাই আমায় জানে শুধু ঈশ্বর
অনুপদে নিজস্বত্তা, বাঁচুক সারা নশ্বর।

Wednesday, February 15, 2017

বঞ্চিলো মোরে ক্ষণ্

শেকলে বাঁধা আমার কথা,
বঞ্চিলো মোরে ক্ষণ্
রক্তেমাখা চাদরে চেপে
প্রস্তুত আমার মন্।।
যুদ্ধ তুমি হৃদে বাজো
বর্মে নিয়ে আমায় সাজো
স্বজাত্য মুক্তিতে,
আমায় তাড়ায় আজো।।
ধুলো ঝেড়ে শান তলোয়ার
বাঁধিয়ে কোমরে শক্তে,
অশ্বখুর ধুলোয় কাঁপুক ভয়ে
শত্রুঘ্ন হোক নিরক্তে।।।
- ‪#‎আসিফ_শেহজাদ‬
(১১/০৭/২০১৬) রাত ১.১৩ মিনিট

Friday, February 10, 2017

অনেক সাধ

একটি জীবনের অনেক সাধ
তবে,
দশকগুলো দ্রুতই এগিয়ে যায়।
শতেক অনুরোধ ক্ষয়ে যায় শেষবারে,
সহস্র আন্তরিকতা ম্লান হয় উপসংহারে,
অযুতে গিয়ে কাউকে খুঁজে ফেরা,
লাখো স্বপ্নংকুর ধ্বংস হয় তোমার কারণে,
নিযুতে থমকে দাঁড়ায় "স্ব" নিঃশ্বাস!
কোটিকল্পে বেঁচে থাকে শুধু আফসোস আর স্মৃতিরা!

Thursday, February 9, 2017

হয়ত কেউ আমিও একজন

কোন রঙহীন মহলের সমাবর্তন
অদেখা যেন সমীচীন আলোর কুণ্ডুলি
আমি শেষার্ধ বিশ্বাসের মিছিলে কোন ভ্রান্ত পথিক।
যে শুধু স্বপ্নই দেখে, রঙ্গমহল গড়তে চায়।
সবাই আমোদিত সেই মহলে, আমার গড়া মঞ্চে কেউ মলিনবিধুর নয়।
সবাই সুখ্যাতির আলোতে পরিবৃত্ত।
আমি নেই সেখানে, আমার কেউ নেই সেখানে।
সবার অমলিন হাসিতে রয়েছি আমি।
আমি সেখানেই বাঁচি।
এর নামই "হয়ত কেউ আমিও একজন।"

Wednesday, February 8, 2017

মিথ্যারসে তুষ্টি

ছিঁড়ে তোমার ধার্ত যখন শাহবাগে পিপার মারে,
মানবতার ইভেন্ট খুঁলে চিল্লাও আরো জোরে।
টানা-হেঁচড়া আর রঙ্গীন জলে কষ্ট তোমার খুব
ধর্ম যাজককে কঠিন চাবুকে থাকো কেন নিশ্চুপ?
চৌদ্দ শিকের অন্তরালে মরে জীবন ম্লান
পৌঁছায় না কারো কর্ণকুহরে বাঁচিবার আহবান।
নিজ দেশেও পরবাসি, সামাজিক অত্যাচার,
চলে প্রহসন বরারবই, চলে অবিচার।
সত্য জানিতে ঢুঁ দেই যখন পত্রিকার-ই পাতায়।
মিথ্যারসে তুষ্টি রচে জাগতিক মিথ্যের মেলায়।

Thursday, January 26, 2017

ভাবনা-চিন্তাঃ ৫ম পর্ব

গতকাল সারাদিন সমাজতন্ত্র আর ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে পড়ছিলাম। একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়। ঘোর ভাঙ্গলো আজকে সুন্দর একটা দৃশ্য অবলোকন করতে করতে। Socialism আর Secularism নিয়ে আরেকদিন বলবো।
যাই হোক, আসার পথে দেখলাম এক বৃদ্ধাকে এক নওজোয়ান ছেলে এক প্যাকেট বিরিয়ানী হাতে দিলো। বৃদ্ধা এইটুকু পেয়ে মহাখুশি, দেখার মত হাসিটা। নওজোয়ান ছেলেটাকে দেখে মনে হলো কোন বিল্ডিং এ লেবারের কাজ করে। সামারি হচ্ছে, আশেপাশে কোথাও মিলাদ হয়েছে, তাই তারাও বিড়িয়ানি পেলো।
আমার পয়েন্ট ২ টাঃ
১/ আজকাল মসজিদ, বাসা-বাড়িতে দোয়া বা মিলাদ শেষ হওয়ার পর তবারক দেয়ার দৃশ্য যদি কেউ দেখে থাকে তাহলে সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষের কথা মনে পড়ে যাবে। বাচ্চা, জুয়ান-বুড়া, শিক্ষিত-অশিক্ষিত মিষ্টি বা খাবার পাওয়ার জন্য পাড়াপাড়ি লাগিয়ে দেয়। কেউ কেউ দুই হাতও বাড়িয়ে দেয়, এক হাত এই পাশ থেকে অন্য হাত অন্য পাশ থেকে। ঐ সময় এক এক জনের চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকলে বুঝা যায় আমরা কত ছোট মানসিকতার! (থাবাথাবি বিশেষ লক্ষণীয়)
২/ বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকা বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, ভিক্ষুক খাবার পায় না। (তবে অনেক জোয়ান মানুষও ইচ্ছে করেই ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে)। তাদেরকে খাবার দেয়া যেতে পারে। গরীবরা তো ভাল ভাল রান্না করে খাওয়া বা কিনে খাওয়ার সামর্থ নেই। মিলাদ বা দোয়াতে এসব সোমালিয়ানদের (খাবার পাওয়ার জন্য যারা থাবাথাবি করে) না খাইয়ে ঐসব পথমানূষদের খাবার দেয়া গেলে সর্বশক্তিমান বেশী খুশি হবে।

কোনো দোয়া বা মিলাদ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া অনেক আগেই বন্ধ করেছি। আর খুব পরিচিত না হলে যাই না এই ধস্তাধস্তির মধ্যে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, সামাজিকতা রক্ষার ভয়ে এসব সোমালিয়ানদের খাওয়াতে হয়। না হলে যে দোয়া কবুল হবে না। (কবে এই ভ্রান্ত আর বিশৃঙ্খল সিস্টেম বাঙ্গালীদের থেকে যাবে? )

Monday, January 23, 2017

ভাবনা-চিন্তাঃ ৬ষ্ঠ পর্ব


এই শিশুটি কোন রাজনীতির সাথে যুক্ত? তার মা কি করেছে? রিমান্ডে তারা???

যতই সাজগোজ করি না কেন, যতই ফিটফাট থাকি না কেন। সত্যের মোড়কে মিথ্যাকে ধবধবে সাদা ভাবি। নিজেকে নানান শ্রেণী, রকমের ধার্মিক সাধু জাহির করি। ঈশ্বরের নাম জপা কেই স্বর্গ পাওয়ার পুলসিরাত মনে করি বা নিয়মতান্ত্রিকতায় নিজেকে নানা রকমের শপথ-ওথে প্রতিষ্ঠিত করি। কালো কাপড় আর মোজা জড়িয়ে নিজেকে সতীসাধ্বী বুজুর্গি ভাবি না কেন, সাদা এপ্রোনে ধর্মের জগতে মাদার সাজি। সিজদার ঘষায় কপালে ঘা করে ফেলি বা ভগবানের তুষ্টির লক্ষ্যে পাঠা বলি দেই না কেন। মানুষ হিসেবে আমরা আমাদের দায়বদ্ধতার প্রশ্নকে উত্তরে পরিণত করতে পেরেছি??? আপনার ধর্ম কি পেরেছে জাগতিক মিথ্যে দূর করে ইনসাফ মিলিয়ে দিতে? আমি ধর্মকে দোষ দেই না। কারণ ধর্মের তো প্রাণ নেই। ধর্ম আমার দ্বারা ব্যবহৃত। অকারণে নিজের ধর্মের ধর্মকারীকে অন্যায় অপবাদকারীর এবাদত কি কবুল হয়? ভগবান কি আপনার প্রতি সহায় হবেন? ধর্ম কি আপনার মুখোশ? অধর্মচারীর থেকেও যে ধার্মিক মুখোশবাজরা অধম। তবে সত্য ধার্মিকরা সত্যজিৎ হয়।

Monday, January 16, 2017

ভাবনা-চিন্তাঃ ৪র্থ পর্ব


সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক Vs সরকারী আমলাতান্ত্রিক জটলা নিয়ে প্রচুর কথা হচ্ছে। কিছু ঘটনার পেছনে চরম সত্য লুকিয়ে থাকে, যা কেউ জানতে আসে না। আর জানলেও তা বলা আমাদের জন্য দুষ্কর শুধুমাত্র সাদা পোশাকের গুপ্ত বাহিনী বা তথ্য-প্রযুক্তির ৫৭ নং ধারার কারণে। তবে আইনের প্রতি সম্মান রেখেই লিখে গেলাম।

মিসরের মিটগামার ব্যাংক ছিলো বিশ্বের প্রথম সুদমুক্ত ব্যাংক। ১৯৭৪ সালে মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম সাহেব "ইসলামী অর্থনীতি গবেষণা ব্যুরো" প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে আরব আমিরাতে বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত "মোহাম্মদ মহসিন" বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠান, যে বাংলাদেশে একটা সুদমুক্ত ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা যায় কিনা। তৎকালীন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর বিষয়টি আমলে নিয়ে একজন প্রতিনিধি পাঠান মিসরে, বিভিন্ন ব্যাংক পরিদর্শনের জন্য যেগুলো শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালিত হয়। পরবর্তীতে OIC ভুক্ত দেশগুলো ইসলামী ব্যাংকিং ওপর এক সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর যোগ দেয়। তার আগ্রহ দেখে "ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক" কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরে বাংলাদেশে তার প্রতিনিধি পাঠায়। ১৯৮৩ সালে মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীমকে সাথে রেখে IDB বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে।
এই হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। যেখানে জামায়াত-শিবির, মওদুদীবাদ কিছুই ছিলো না। শুধুমাত্র সুদমুক্ত ইসলামী ব্যাংক গড়ার ইচ্ছা থেকেই এর শুরুটা হয়। ২০১৬ সালের আগ পর্যন্ত ব্যাংকটিতে কোন সরকারই হস্তক্ষেপ করেনি। তবে পরিচালনা পর্ষদ থেকে দেদারছে সবাই অব্যহতি নেয়াটা দৃশ্যত বেমানান। হঠাৎ করে সবাই-ই এতই অযোগ্য হয়ে গেলো ব্যাংক পরিচালনার জন্য? নাকি অদৃশ্যের হাত আছে? (শকুনের থাবা তো অবশ্যই আছে)
যারা এখন নিয়োগ পেয়েছে তারা অনেকটা উড়ে এসে জুড়ে বসার মত। কারোই যোগ্যতাসূচক শেয়ার ক্র্য় করা নেই, শেয়ার মার্কেটে ধসে এদের কারো কারো কালো তিলক এখনো মুছে যায় নি ইত্যাদি ইত্যাদি (রাজনৈতিকভাবেও এরা হোমরাচোমরা, পুটুতে সীলমারা রয়েছে)
ব্যাপার হচ্ছে কিছু গড়তে হলে কষ্ট করতে হয়, মেধা-পরিশ্রম লাগে।ভাঙার জন্য এসব রাজনৈতিক কাক গুলোই যথেষ্ট। উইকিপিডিয়া ঘেটে জানলাম সবাই ছিলেন qualified (আগের পর্ষদের)। এখনকার গুলোকে নিয়ে কিছু বলার নেই (মনে মনেই থাকুক)।
আর একটা কথা, ইসলামী ব্যাংকে চাকুরী পেতে হলে ইসলামী ইতিহাসই জানতে হবে ( রামায়ণের শ্লোক জানলে কিংবা চেতনাবাদীকে কেউ লিখিত পরীক্ষায় ধুচে না) । আর ইসলামী দলের আন্ডাবাচ্চারা জব পেয়ে যায় কারণ যতই গালিগালাজ আর চেতনা নিয়ে ভ্যা ভ্যা করেন, ছেলেগুলো পড়াশুনা করে ঐ পর্যন্ত যায়।
আরও বলতে চাইছিলাম। আজ আর না। থাক।।।

Sunday, January 15, 2017

ভাবনা-চিন্তাঃ ৩য় পর্ব


অনার্য-আর্য ছিল আমাদের আদিপুরুষ। কালের বিবর্তনের আর্যদেরকে বিচ্ছিন্ন করে ভারতবর্ষে জায়গা করে নেয় বিদেশী বণিকরা। স্থানীয় মানুষের সাথে লেনদেন, বসতবাড়ি, বিবাহ-বন্ধনে জড়িয়ে যায় কিছু বণিকরা। ভালোবেসে ফেলে এ দেশকে। যদিও দেয়ার নাম করে নিয়েই গেছে বিদেশীরা (এখনও নিচ্ছে)। দিয়ে গেছে কিছু শব্দ, যা আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করি। আরও দিয়ে গেছে কিছু ভালো-মন্দ গুণ।
আমরা বাঙ্গালীরা Unique জাতি হওয়ার পেছনে সকল জাতির অবদান আছে। সবার থেকে একটু একটু করে পেয়েছি আমরা 😂।
★***★
কিছু মানুষ খুবই কর্মঠ; জাপানিজদের মত।
কিছু মানুষ আত্মবিশ্বাসী; ফরাসি, তুর্কী বা রোমদের মত।
কিছু মানুষ সত্যবাদী; আফগানীদের মত।
কিছু মানুষ খুবি কৌশলী; বৃটিশদের মত।
কিছু মানুষ অনেকগুলো কাজে পারদর্শী; চাইনিজদের মত। (সাইন্সের টিচাররা 😂)
কিছু মানুষ খুব সুন্দর; রোমানিয়ানদের মত।
কিছু মানুষ সামাজিক; প্যারিসবাসীর মত।
কিছু মানুষ ধুরন্ধর বা ইতর স্বভাবের; ইন্ডিয়ানদের মত।
কিছু মানুষ রগচটা; পাকিস্তানিদের মত।
কিছু মানুষ অল্পতেই বিবাদে জড়ায়; আফ্রিকানদের মত।
কিছু মানুষ কৃতঘ্ন; বৃটিশদের মত (শুধুমাত্র লর্ড ক্লাইভের বংশধররাই, সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যাকারী)
★***★
তবে আঞ্চলিকতা নিয়ে লিখেও লিখলাম না। কারণ এসব নিয়ে কথা বললেই কথা বাড়ে, সম্পর্ক নষ্ট হয়। যাই হোক। সার্বিকভাবেই বলে গেলাম কথাগুলো।

হয়ত কেউ

ক্রোশ ক্রোশ পথ পেরিয়ে তোমার সীমানায় হামাগুড়ি; অস্পষ্ট, ঘোলা চোখ, কিন্তু ভেতরে একটু আশা যদি দেখা পাই তোমার!!!
বিধৃত মেঘ আমায় চলে যেতে বলে! বাতাসেরা ধুলোর ঝাপটা দিয়ে যায়!!!!
চোখ মুছতে মুছতে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আমি!!!
হঠাৎ মুঠোফোনে তোমার কড়া নেড়ে দেখে অবাক, তবে তুমি অম্লান..........
কারণ এমুখ হয়ত আর দেখতে চাও না!!!
ভাবছো হয়ত সেই রক্তিম চক্ষু নিয়ে বিভীষিকাসন এক আমি!!!!
কিন্তু কখনই ভাবতে স্ফার হইনি তোমার...... ছিলাম "হয়ত কেউ আমিও একজন"!!!!!
হয়ত কেউ!!!!

Friday, January 13, 2017

ভাবনা-চিন্তাঃ ১ম পর্ব

অনেকদিন ধরেই কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্নজট বেঁধেছিলো। একে একে সমাধান হচ্ছে, তাই ভাবলাম ফেবু এক্টিভ করে সবার সাথে শেয়ার করি।
আমি বেশ কিছুদিন ধর্মের উৎপত্তি, তাঁদের প্রবর্তকদের নিয়ে পড়ছি। তবে সারকথা এই যে, প্রত্যেক ধর্মই পূর্বের ধর্মের থেকে আধুনিকায়ন হয়ে এসেছে। মানে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। সেদিক থেকে "ইসলাম" ধর্মটি অনেক বিজ্ঞান সম্মত আর ধর্ম প্রবর্তক মোহাম্মদ (সঃ) একজন মনীষী ছিলেন বা অক্ষর জ্ঞান না থাকার পরও যেকোনো বিষয়ে যে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে তা প্রশংসার দাবীদার।

যাই হোক মূল কথায় আসি, অনেক সময় মনে সবারই প্রশ্ন জাগে, এত চেষ্টা করলাম কিন্তু আল্লাহ/ ভগবান/ঈশ্বর কেন মুখ তুলে তাকায় না?
উত্তর হচ্ছে আমাদের কথা, চাওয়া তার নিকট পৌঁছায় না।
তাহলে কেন আল্লাহ কবুল করে না?
আমাদের চাওয়াতে সেই একনিষ্ঠতা নেই বা আমাদের চাওয়ার পদ্ধতি ভুল বা আমরা বিপথগামী তাই সর্বশক্তিমান নাখোশ আমাদের ওপর।
মাঝে একটা ঘটনা বলি, আদম-হাওয়াকে নিষেধের পরও নিষিদ্ধ ফল গ্রহণ করে, জান্নাত থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর দুনিয়া থেকেই দুঃখ-কষ্ট শুরু হয় তাদের। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তারা দুনিয়াবি কষ্টের সাথে লড়ে গেছে। (সব ধর্মেই এইভাবে বলা আছে)।
ভুল বা পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়েছে তাদের। সেই দুনিয়াবী দুঃখ-কষ্ট নিয়ে আমরাও বেঁচে আছি।

আবার,নবী ইব্রাহীম (আ) এর কাছে এক অনাহারী এসেছিল, বিসমিল্লাহ্‌ না বলে খেতে শুরু করায় তাকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। অনুতাপী ইব্রাহীম আর কোন সন্ধান পান নি সেই লোকটির। পরবর্তীতে ইব্রাহিম অনেক বছর সন্তানের মুখ দেখেন নি আর জন্ম নেয়া ইসমাইলকে নিয়েও অগ্নিপরীক্ষা দিয়েছেন। ইসমাইল মুক্ত হলেও পশু কোরবানির নিয়ম শুরু হয়ে যায়। ভুল বা অন্যায় থেকে বাদ যায় নি নবী-রাসুল বা অবতাররাও।

একইভাবে, লোহিত সাগরের ইতিহাস পড়লে বুঝা যাবে। পূর্বপুরুষের পাপের কারণে সর্বশক্তিমান কিছুটা হলেও আমাদের (মানবজাতি) ওপর নাখোশ।
তবে এত কিছুর পরও বিধাতা কেউকে অভুক্ত রাখেনি। সর্বশক্তিমানকে অবিশ্বাসকারীকেও আলো, বাতাস থেকে বঞ্চিত করেন নি। নামাজ পড়ে না বলে আল্লাহ তার কোন বান্দাকে ত্যাগ করেনি। কিন্তু বিশাল পৃথিবীর মানুষরা কি বিশালত্ব অর্জন করতে পেরেছি? কাছে টানতে পেরেছি সেই অধার্মিক বন্ধুটিকে? নাকি নিজে একাই স্বর্গে যাবার চেষ্টায় ব্রত? নাকি ভালো জামাই, ভালো বউ পাবার জন্য মাথা ঠুকে যাই...!!!

চিন্তা-ভাবনাঃ ২য় পর্ব

আসন্ন বিশ্ব ইজতিমা নিয়ে অনেকেই উৎসুক, অনেকেই এটা পছন্দ করেন না। তবে আমার মিশ্র কিছু প্রতিক্রিয়া আছে।

১/ ১৬০ একর জায়গা নিয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রায় লাখখানেক মানুষের সমাবেশ ঘটে। এরা নামাজ, ধর্মীয় আচার পালনের শিক্ষাগ্রহণ করে ধর্মীয় গুরুর থেকে। কিন্তু ইজতেমায় আসা মানুষের লক্ষ্য কি? উদ্দ্যেশ্য কি?
অনেকের কাছে প্রশ্নের পর অগোছালো উত্তর পেয়েছি। যে শিক্ষাগ্রহণ করেছি তা ইহজগতে আর পরজগতে কাজে লাগাতে চাই; এই শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে চাই এলাকাবাসীর মাঝে; পূর্বের গোনাহের জন্য ক্ষমা চাইতে এসেছি; কামিয়াবি হতে এসেছি।
বুঝলাম, উদ্দেশ্য শুধুই আমি বুঝতে পেরেছি। তবে সবার থেকে অল্প অল্প উত্তর নিয়ে।

২/ এটা ৫২তম ইজতিমা। এর আগে আরো ৫১টা ইজতেমা হয়েছে। এত ধর্মপ্রাণ মুসলমান থাকতে দেশপ্রেমিকের ভাটা কেন? কেন স্বাধীনতার এত পরে এসেও ভেজাল খাবার খাই? কেন সামাজিক আন্দোলন গড়ে ওঠে না অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে? (সামাজিক আন্দোলন হচ্ছে সমাজের অরাজকতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা; রাজনৈতিক ব্যাপার-স্যাপার না)
ব্র‍্যাকেটে কথাগুলো বললাম কারণ ওনারা রাজনীতি ব্যাপারটা ভয় পায় অনেক। (তবে না বুঝেই ধানের শীষ, নৌকায় ছাপ্পা মারলে গুনাহ নেই; কুরআনে তো রাজনীতি নিয়ে বলাই নেই, তাদের মতামত আর কি)

৩/ তাবলীগ ভক্ত বন্ধুকে প্রশ্ন করেছিলাম, তোমাদের এত সমর্থক, এত ভক্ত। তাহলে কেন রেভ্যুলেশন বা বিপ্লব হয় না?
উত্তরে বলল, আরো বড় পরিসরে গিয়ে তারা বিপ্লব ঘটবে। তবে তারা কখনই রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করবে না। ক্ষমতা-নির্বাচন এসব দুনিয়াবি কাজকারবার। ভাল না এসব।
সুতরাং বিশাল এই জনপদকে সঠিক নেতৃত্ব দেয়ার মত নেতার অভাব। তাই ভক্তদের মুখ থেকে এসব উন্নাসিক কথা বের হয়।

৪/ সর্বশেষ কথা, বাংলাদেশ এমন একটা দেশ। যেখানে আস্তে আস্তে জিকির করা, নফল নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ পড়ে যাওয়া মানুষদের সুফি-সাধক ভাবে, তাদেরকে জায়গা করে দেয় যারা নরম কথা বলে, শক্ত কথা বলেই না।
আর অন্যদিকে, শক্ত ও সত্য হুজুরদের টকশোতে ২০ মিনিটের জায়গায় ১০ মিনিট কথা বলতে দেয়। ধর্মব্যবসায়ী বলে সবখানে মারে (ভাতে আর হাতে, দুইভাবেই)।
দুনিয়াবি অরাজকতার ব্যাপারে যেদিনই তাবলীগ ওয়ালাদের ঘুম ভাঙ্গবে, সেদিনই ১৬০ একর জায়গা ব্লক করে দেবে প্রশাসন। (So, বাবারা ঘুমিয়ে থাক আল্লাহর নাম নিয়ে)

Saturday, January 7, 2017

ভালো থেকো

জানোই হয়ত স্বর্গীয় সুখ আর নরকের নারকীয়তা ভেতরটা স্পর্শ করে না। স্বর্গলোক থেকে স্বপ্ন দেখাতে ঘুমের মধ্যে এসো না। দিন শেষ শুধু কোলাহলমুক্ত থাকাটাই আমার কাছে স্বর্গ। আর আরেক স্বর্গের দুনিয়া "মা"। হয়ত তাঁর ভালবাসায় এই পাপী বেঁচে আছে। আকাশ ছুঁতে চাই এই ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানাতে।
আর কখনও সামনে এসো না, স্বপ্নেও না; ধর্মীয় চাদর আচ্ছাদিত হয়ে। তোমার সৃষ্টিকর্তার কাছে আমার কিছু চাওয়ার নেই। যেই দুনিয়ায় থাকো, ভালো থেকো।

Monday, January 2, 2017

অজানা গল্প

কিছু গল্পের কোন নাটকীয়তা নেই,
কিছু নিঃশ্বাসের কোন মানে জানা নেই,
কিছু জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্নের কোন উত্তর নেই,
কিছু ভাল থাকার মিথ্যে অভিনয়ের কোন সংজ্ঞা নেই।
আর দেয়ালের ভেতরের গল্পটা সবারই তো অজানা!

Sunday, January 1, 2017

প্রার্থনা

অভ্রান্ত যেন আমার হয়
অনিমেষ যেন আমার রয়
অসম হোক আমার ঈর্ষা
অতল হোক আমার বিত্রিশা।

শীতল হোক আমার দু চক্ষু
গন্তব্য হোক সঠিক লক্ষ্য
বিনয়ী যাতনা গভীরে থাকুক
নতুন দিনে সবাই সুখে থাকুক

পথ চলা

অনেক ভুল ছিল, পিছুটান এখনও ছাড়েনি।
দৈন্যদশা এখনও বর্তমান।
নিমগ্ন হতাশায়।
জরাজীর্ণ কিংবা বিভাজিত হৃদয়।
তারপরও স্বপ্ন দেখবো,
আমাকে দেখতেই হবে।
আমাকে চলতেই হবে।
নতুন দিনে, নতুন প্রত্যাশায় হোক নতুন করে পথ চলা।

নতুনে ভুলি নাই

তুমি ফুরায়ে গিয়েছো কবে আমিতো চলে যাব; বলে, থেকে রয়েছি এতক্ষণ হারিয়ে যাবার গল্পে কে আগে? কে পরে? শুন্য আকাশ তলে আমি একজন, একা। তোমারি আশাতে ছ...