কবি মরে কাঁটার বিষে, দেয় না আত্মাহুতি,
ধীরে ধীরে তার সব মরে যায়, নিঃশেষ হয় দ্রুতি।
ভাবনার স্রোতে একেক সময়, জোয়ার ভাটার টান,
চোখের সামনেই কত শেষ হলো, আহত খানখান।
থাকে না ভালো সময়গুলো, সহস্র অসমান,
যায় না শোধানো ভুল গুলো, নিশ্চলে সয় অপমান।
বিবাদী পারে না প্রমাণ মিলাতে, পারে না যুক্তি বুদ্ধি,
যা-ই বলে তাই মাথা পেতে নেয়া, একটু ভুলের শুদ্ধি।
আহত হৃদয় মুখোশ পড়ে, ভালো আছে সে খুব,
নিঁচু মাথা তাঁর অশ্রু মুছে, দেয় অন্যত্র ডুব।
নিরব হয়ে চলে যাবো যেদিন, থামবে কলমের কালি,
কন্ঠে আর বাজবে না গান, থাকবে যে ঘর খালি।
তাদের দাবীতে জীবন বাঁচাই, জীবন বাঁচাতে খুঁজি পথ,
আটকে আছি সত্য খুঁজতে, তাই বার বার থামে রথ।
আমার কি দোষ? মন তো মানে না, মানে না ক্লান্তিভক্তি,
কবে মিলবে এলোমেলো গল্প, পাবো সমাধান আর মুক্তি?
চিরজীবী হোক তাদের চলা, যারা পাছে টেনে ধরে আগে,
ক্ষমার্হ গুণে ধুয়ে দিয়ো ভাই, যদি হৃদয়ে কাটি দাগে।
ভয়ানক হবে সেই দিনগুলো, মরেও বেঁচে থাকবো,
না পারবো লিখতে কিছু, এক মনে হয়ত আঁকবো।
খোদা না চাহেন এমন দিন, না আসুক তকদীরে,
শীতল হাসিতে চক্ষু বুজবো, শত মানুষের ভীড়ে।