আসন্ন বিশ্ব ইজতিমা নিয়ে অনেকেই উৎসুক, অনেকেই এটা পছন্দ করেন না। তবে আমার মিশ্র কিছু প্রতিক্রিয়া আছে।
১/ ১৬০ একর জায়গা নিয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রায় লাখখানেক মানুষের সমাবেশ ঘটে। এরা নামাজ, ধর্মীয় আচার পালনের শিক্ষাগ্রহণ করে ধর্মীয় গুরুর থেকে। কিন্তু ইজতেমায় আসা মানুষের লক্ষ্য কি? উদ্দ্যেশ্য কি?
অনেকের কাছে প্রশ্নের পর অগোছালো উত্তর পেয়েছি। যে শিক্ষাগ্রহণ করেছি তা ইহজগতে আর পরজগতে কাজে লাগাতে চাই; এই শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে চাই এলাকাবাসীর মাঝে; পূর্বের গোনাহের জন্য ক্ষমা চাইতে এসেছি; কামিয়াবি হতে এসেছি।
বুঝলাম, উদ্দেশ্য শুধুই আমি বুঝতে পেরেছি। তবে সবার থেকে অল্প অল্প উত্তর নিয়ে।
২/ এটা ৫২তম ইজতিমা। এর আগে আরো ৫১টা ইজতেমা হয়েছে। এত ধর্মপ্রাণ মুসলমান থাকতে দেশপ্রেমিকের ভাটা কেন? কেন স্বাধীনতার এত পরে এসেও ভেজাল খাবার খাই? কেন সামাজিক আন্দোলন গড়ে ওঠে না অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে? (সামাজিক আন্দোলন হচ্ছে সমাজের অরাজকতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা; রাজনৈতিক ব্যাপার-স্যাপার না)
ব্র্যাকেটে কথাগুলো বললাম কারণ ওনারা রাজনীতি ব্যাপারটা ভয় পায় অনেক। (তবে না বুঝেই ধানের শীষ, নৌকায় ছাপ্পা মারলে গুনাহ নেই; কুরআনে তো রাজনীতি নিয়ে বলাই নেই, তাদের মতামত আর কি)
৩/ তাবলীগ ভক্ত বন্ধুকে প্রশ্ন করেছিলাম, তোমাদের এত সমর্থক, এত ভক্ত। তাহলে কেন রেভ্যুলেশন বা বিপ্লব হয় না?
উত্তরে বলল, আরো বড় পরিসরে গিয়ে তারা বিপ্লব ঘটবে। তবে তারা কখনই রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করবে না। ক্ষমতা-নির্বাচন এসব দুনিয়াবি কাজকারবার। ভাল না এসব।
সুতরাং বিশাল এই জনপদকে সঠিক নেতৃত্ব দেয়ার মত নেতার অভাব। তাই ভক্তদের মুখ থেকে এসব উন্নাসিক কথা বের হয়।
৪/ সর্বশেষ কথা, বাংলাদেশ এমন একটা দেশ। যেখানে আস্তে আস্তে জিকির করা, নফল নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ পড়ে যাওয়া মানুষদের সুফি-সাধক ভাবে, তাদেরকে জায়গা করে দেয় যারা নরম কথা বলে, শক্ত কথা বলেই না।
আর অন্যদিকে, শক্ত ও সত্য হুজুরদের টকশোতে ২০ মিনিটের জায়গায় ১০ মিনিট কথা বলতে দেয়। ধর্মব্যবসায়ী বলে সবখানে মারে (ভাতে আর হাতে, দুইভাবেই)।
দুনিয়াবি অরাজকতার ব্যাপারে যেদিনই তাবলীগ ওয়ালাদের ঘুম ভাঙ্গবে, সেদিনই ১৬০ একর জায়গা ব্লক করে দেবে প্রশাসন। (So, বাবারা ঘুমিয়ে থাক আল্লাহর নাম নিয়ে)
১/ ১৬০ একর জায়গা নিয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রায় লাখখানেক মানুষের সমাবেশ ঘটে। এরা নামাজ, ধর্মীয় আচার পালনের শিক্ষাগ্রহণ করে ধর্মীয় গুরুর থেকে। কিন্তু ইজতেমায় আসা মানুষের লক্ষ্য কি? উদ্দ্যেশ্য কি?
অনেকের কাছে প্রশ্নের পর অগোছালো উত্তর পেয়েছি। যে শিক্ষাগ্রহণ করেছি তা ইহজগতে আর পরজগতে কাজে লাগাতে চাই; এই শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে চাই এলাকাবাসীর মাঝে; পূর্বের গোনাহের জন্য ক্ষমা চাইতে এসেছি; কামিয়াবি হতে এসেছি।
বুঝলাম, উদ্দেশ্য শুধুই আমি বুঝতে পেরেছি। তবে সবার থেকে অল্প অল্প উত্তর নিয়ে।
২/ এটা ৫২তম ইজতিমা। এর আগে আরো ৫১টা ইজতেমা হয়েছে। এত ধর্মপ্রাণ মুসলমান থাকতে দেশপ্রেমিকের ভাটা কেন? কেন স্বাধীনতার এত পরে এসেও ভেজাল খাবার খাই? কেন সামাজিক আন্দোলন গড়ে ওঠে না অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে? (সামাজিক আন্দোলন হচ্ছে সমাজের অরাজকতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা; রাজনৈতিক ব্যাপার-স্যাপার না)
ব্র্যাকেটে কথাগুলো বললাম কারণ ওনারা রাজনীতি ব্যাপারটা ভয় পায় অনেক। (তবে না বুঝেই ধানের শীষ, নৌকায় ছাপ্পা মারলে গুনাহ নেই; কুরআনে তো রাজনীতি নিয়ে বলাই নেই, তাদের মতামত আর কি)
৩/ তাবলীগ ভক্ত বন্ধুকে প্রশ্ন করেছিলাম, তোমাদের এত সমর্থক, এত ভক্ত। তাহলে কেন রেভ্যুলেশন বা বিপ্লব হয় না?
উত্তরে বলল, আরো বড় পরিসরে গিয়ে তারা বিপ্লব ঘটবে। তবে তারা কখনই রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করবে না। ক্ষমতা-নির্বাচন এসব দুনিয়াবি কাজকারবার। ভাল না এসব।
সুতরাং বিশাল এই জনপদকে সঠিক নেতৃত্ব দেয়ার মত নেতার অভাব। তাই ভক্তদের মুখ থেকে এসব উন্নাসিক কথা বের হয়।
৪/ সর্বশেষ কথা, বাংলাদেশ এমন একটা দেশ। যেখানে আস্তে আস্তে জিকির করা, নফল নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ পড়ে যাওয়া মানুষদের সুফি-সাধক ভাবে, তাদেরকে জায়গা করে দেয় যারা নরম কথা বলে, শক্ত কথা বলেই না।
আর অন্যদিকে, শক্ত ও সত্য হুজুরদের টকশোতে ২০ মিনিটের জায়গায় ১০ মিনিট কথা বলতে দেয়। ধর্মব্যবসায়ী বলে সবখানে মারে (ভাতে আর হাতে, দুইভাবেই)।
দুনিয়াবি অরাজকতার ব্যাপারে যেদিনই তাবলীগ ওয়ালাদের ঘুম ভাঙ্গবে, সেদিনই ১৬০ একর জায়গা ব্লক করে দেবে প্রশাসন। (So, বাবারা ঘুমিয়ে থাক আল্লাহর নাম নিয়ে)
No comments:
Post a Comment