Friday, December 7, 2018

চুপিসারে নিরুপায়

চাঁদমুখ খানি সোনায় মুড়িয়ে
রাখার প্রতিজ্ঞা।
কঠিন শাসন চাপিয়ে দিয়ে
করালাম আজ্ঞা।
বিবেক আমায় তাড়িয়ে বেড়ায়
অন্ধকারে কেন?
স্বপ্নের ঘোর কেটে গেলো আজ
ভুল আমি এখনো?

রঙ্গীন চাদরে গল্পগুচ্ছ
মুঠোয় পুড়ে রাখি,
আদর ভালোবাসায় ভরা
কত স্বপ্ন আঁকি।
বিনাশ আমায় তাড়িয়ে বেড়ায়
বেঁচে আছি কেন হায়?
অন্যের মুখে মরণ লেপে
চুপিসারে নিরুপায়।

Thursday, December 6, 2018

নরক ও নারকীয়

প্রবঞ্চনার সুতোয় গাঁথা,
বুকেচাপা কত ব্যথা।
আকুল মনের তিক্ত হাসি,
এড়িয়ে যাওয়া যে সর্বনাশী।
সয়ে যায় প্রাণে বিনাশ দহ,
বিষাদ ছড়াবে আমায় সহ।
যাপিত জীবনে সহজ নেশা,
ভুলে যাবে সেতো দুঃখ ঠাসা।
একটা শান্ত সুদিন আসবে কবে?
প্রাণ পাখি মোর উড়ে যাবে তবে।
প্রতিহিংসার চরমে মলিন,
চুপিসারে কেউ মৃত্যু বিলীন।
বেঁচে আছে যারা উচ্চ শিরে,
পাঁজরে আঘাত কিছুক্ষণ পরে।
বিবেক যেন মরে গেছে আজ,
লালসার ভিড়ে সয়ে গেছে লাজ।
চিৎকার কেউ শোনে না আর,
বন্ধ সেদিন নিজ দুয়ার।
শান্ত সুদিন আসলো পরে,
"নরক" নামের সুর ধরে।
(৬/১২/১৮)
আসিফ শেহজাদ
আত্মহত্যা কারোরই কাম্য নয়। তবে আত্মহত্যার শেষ আশ্রয় নরক।

Saturday, November 17, 2018

মৃত্যুকামনা

মৃত্যু কখন কাকে গ্রাস করে কেউই জানি না আমরা। তবে সুন্দর মৃত্যু ক'জনের ভাগ্যে থাকে? যে মৃত্যুর পর অনেক মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়, যে মৃত্যুর পর সবার অন্তরের অন্তস্থঃতল থেকে আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে, সেই মৃত্যুই তো সৌভাগ্যের। সবার সাথে হাসিখুশি থাকার পর রাতে চোখ বুজে যাওয়া কিংবা তাহাজ্জুদ পরা অবস্থায় মৃত্যু সবার কপালে জোটে না। সকালে তার নিথর দেহ দেখে কারো আফসোস হোক বা না হোক৷ অন্তত মৃত আত্মার আফসোস থাকে না, শান্তি পায়, তার উপর কারো দেনা পাওনা নেই। সবার সাথে দেনা পাওনা মিটানোর পর কিংবা ভুল ভ্রান্তি, ভুল বোঝাবুঝির অবসান হলে মৃত্যুকে খুব মনে পড়ে আমার। কারণ তখন অন্তত কারো রাগ বা ক্ষোভ থাকবে না আমার উপর।
চোখ বুজে নজরুলের লেখা লাইনগুলো মনে পড়ে,

"আমি চিরতরে দূরে চলে যাব
তবু আমারে দেব না ভুলিতে
আমি বাতাস হইয়া জড়াইব কেশ
বেণী যাবে যবে খুলিতে।"

মৃত্যু কামনা করা পাপের। তবে খোদা তায়ালা সুন্দর মৃত্যু দেক সেটা কামনা করা অন্যায় না।

Thursday, October 18, 2018

প্রফেশনাল বিবিএ ভর্তিঃ ১ম পর্ব

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল বিবিএ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা শেয়ার করতে চাই। এটাকে ২টি পর্বে ভাগ করলাম। আজকে ১ম পর্ব যেখানে ভর্তির আগে কিছু নির্দেশনামূলক কথা থাকবে। এবং পরের পর্বে ভর্তি পরবর্তী শিক্ষাজীবন কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায় সেই ব্যাপারে বলবো।

আশা করি, সবাই ভালো ও সুস্থ আছো। সরাসরি মূল কথায় আসি, তোমাদের অনেকেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পাওয়ার পর একরকম মনোকষ্ট নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসো। যাদের আর্থিক সংগতি ভালো তারা হয়ত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে admission নিচ্ছ। তবে বেশিরভাগ ছাত্রই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর কেউ অনার্স, ডিগ্রি বা প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তি হচ্ছো। একজন প্রফেশনাল বিবিএ এর সাবেক ছাত্র হিসেবে আজকে তোমাদের সাথে কিছু বিষয় শেয়ার করবো যা তোমাদের ভালো একটা কলেজে ভর্তি হবার জন্য পাথেয় হবে। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত তোমার তুমি কোথায় ভর্তি হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে নতুন এক মাত্রা যোগ করেছে এই প্রফেশনাল কোর্স (Professional BBA, Professional CSE) । তবে শুধুমাত্র প্রাইভেট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজে এই কোর্স চালু আছে। সরকারী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজে প্রফেশনাল কোর্স নেই। অর্থাৎ ব্যক্তি মালিকানাধীন কলেজগুলোতে প্রফেশনাল কোর্স চালু আছে। কিন্তু বেশিরভাগ কলেজই এই প্রফেশনাল কোর্স নিয়ে এতটাই বাণিজ্যিকীকরণ করা হয় যে, সেখানে শিক্ষার মান নেই বললেই চলে। আর ভর্তির পরে বের হয়ে অন্য কোথাও পড়তে চাইলে কারোরই সাহায্য পাবে না। ৪ বছরের অর্ধেক টাকা দিয়ে পরে বের হতে হবে। সুতরাং ভর্তির আগেই সকল ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ জেনে তারপর ভর্তি হবে।

প্রথমত, কোন ডিসকাউন্ট, টাকা কম নেয়ার কথায় প্ররোচিত হবে না একদমই। কারণ যে শিক্ষক দ্বারা তুমি প্ররোচিত হতে যাচ্ছো, আগামী ৪-৫ বছর তার পিছেই তোমার ঘুরে ঘুরে প্রাইভেট পড়তে হবে। যে টাকা তুমি কম দিচ্ছ তা সুদে আসলে তোমার থেকে তুলে নিবে। একটা বিষয় খেয়াল রাখবে, মানসম্পন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান কখনই ছাত্র ভর্তির জন্য ডিসকাউন্ট অফার করবে না।
তবে Scholarship বলে একটা কথা আছে, ভালো রেজাল্টের জন্য যদি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে Scholarship প্রদান করে এবং ইতিপূর্বে সেখানে অধ্যয়নরত কেউ যদি Scholarship পেয়েও থাকে তাহলে তা সাদরে গ্রহণ করতে পারো।

দ্বিতীয়ত, যেখানে ভর্তি হবে সেখানে পড়াশুনা করে বড় ভাই-বোন কোনো ভালো প্রতিষ্ঠানে আছে কিনা খোঁজ নিবে। প্রতিষ্ঠানের মুখের কথায় না। দরকার হলে সেই বড় ভাই-বোনের সাথে দেখা করে তাদের অভিমত জানবে। প্রাতিষ্ঠানিক কোন দূর্বলতা থাকলে আক্ষেপটা তাদের মুখ থেকেই শুনতে পারবে।

তৃতীয়ত, সেখানকার Immediate senior ব্যাচের ভাই-বোনদের থেকে জেনে নিবে স্যারদের কাছে প্রাইভেট পড়তে হয় কিনা। বড়দের কাছ থেকে যদি এতটুকু শুনতে পাও যে, "যার ইচ্ছা প্রাইভেট পড়বে, যার ইচ্ছা পড়বে না। প্রাইভেট পড়তে কেউ জোর করে নি।" তাহলেই বুঝবে প্রশাসনিক ঘাটতি আছে। তোমাকেও কোন না কোন একদিন প্রাইভেট পড়তে যেতেই হবে। তোমার সার্কেলের সবাই প্রাইভেট পড়লে তুমিও নিশ্চয়ই বাদ যাবে না। র‍্যাংকিং এ এগিয়ে থাকা কলেজগুলোতে প্রাইভেট নিষিদ্ধ। কোন স্যার পড়ালে তার চাকরী থাকবে না।

চতুর্থত, সেই কলেজে কোন Debating Club, Sporting Club, Language Club, Cultural Club আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে সেগুলোর কার্যক্রম চলছে কিনা। অর্থাৎ সেগুলো চালু আছে কিনা বা চলমান কিনা। গ্রাজুয়েশন লাইফে ক্রিয়েটিভ অনেক চিন্তা কাজ করবে, নিজেকে তুলে ধরতে ইচ্ছে করবে। কলেজে যদি সেইরকম প্লাটফর্ম ই না থাকে তাহলে শিক্ষা জীবনে কোন প্রাণ থাকবে না। শুধুমাত্র বই পুস্তকের জ্ঞানই জ্ঞান নয়।

পঞ্চমত, সেখানে নিয়মিত Presentation, Assignment হয় কিনা সেটাও জেনে নিবে। এই জন্য ৭ম সেমিষ্টার বা পাশ করা বড় ভাই-বোনদের থেকে জেনে নিবে। অনেকেই Presentation, Assignment দেয়ার ভয়ে ও প্রতিদিন উপস্থিত হওয়া থেকে বাঁচতে ভালো কলেজে এডমিশন নেয় না। এই মারাত্মক ভুলটা আমিও করেছি। যার ফলাফল অনেকদিন বেকারত্বের স্বাদ গ্রহণ করে চলতে হয়। একটা ছেলে বা মেয়ে পার্ট টাইম হিসেবে Sales Representative হতে পারে, শত শত অচেনা মানুষের সাথে কথা বলতে পারে। কিন্তু ক্লাসে পরিচিত বন্ধুদের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করতে ভয়, লজ্জা পায়। জড়তা থাকে বলেই Multinational Firm গুলোতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাশ করা ছেলে মেয়েদের ঠাঁই হয় না। তাই নিয়মিত উপস্থিত হওয়া ব্যাপারে কড়াকড়ি করা কলেজ গুলো ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হয়, Presentation ও Assignment নিজের জড়তা দূর করে।

সর্বশেষ, শিক্ষাবান্ধব একটা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা সহায়ক উপাদান থাকবে। সেখানে ভালো একটা লাইব্রেরী আছে কিনা, কম্পিউটার ল্যাব আছে কিনা, শিক্ষার্থীদের কমন রুম আছে কিনা, দৈনিক পত্রিকা পড়ার ব্যবস্থা আছে কিনা, ইনডোর গেমসের ব্যবস্থা আছে কিনা এবং বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্বাস্থসম্মত শৌচাগার আছে কিনা। সর্বশেষ বিষয়টা অনেকের কাছে হাস্যকর মনে হলেও এটাই সত্যি যে আমি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন, মুক্ত ও উন্নত চিন্তা করতে যাই তাহলে আমার মানসিক সুস্থতা জরুরী।

উপরের সকল বিষয়ই র‍্যাংকিং বিহীন কলেজগুলোর জন্য বলা। ১ম সেমিষ্টারে ভর্তির পরেই সর্বশেষ সেমিষ্টার হিসেবে ৭ম সেমিষ্টারের ভাই-বোনদের পাবে। সুতরাং ভর্তির পূর্বে তাদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারো এবং সেখান থেকে পাশ করে বর্তমানে কোথাও চাকুরীরত আছে এমন ভাই-বোনদের সাহায্য নিতে পারো। বিশ্ববিদ্যালয়ে জানার ব্যাপারে কোন সিনিয়র ভাই-বোনদের দ্বারে গেলে বিরক্ত হবে না আশা করি।

আরেকটা কথা, কারো যদি পার্ট টাইম জবের ইচ্ছা থাকে তাহলে অনার্স বা ডিগ্রি নিয়ে পড়তে পারো, কারণ যে কলেজ উপস্থিতির ব্যাপারে কড়াকড়ি করছে না, সে কলেজ বা শিক্ষক তোমাকে আপাতত সাহায্য করছে বলে মনে হলেও বিশাল ক্ষতির দিকে তোমাকে ঠেলে দিচ্ছে। আর মানসিকতা শক্ত রাখবে, প্রফেশনাল বিবিএ পড়তে এসেছো মানে কারো দয়া দাক্ষিন্যের পাত্র নও তুমি। ৬ মাস অন্তর অন্তর ১৫-২০ হাজার সেমিষ্টার ফি দিবে তুমি। এরপরেও কারো কাছে বিষয়ভিত্তিক প্রাইভেট পড়াটা অর্থের অপচয় ছাড়া কিছু নয়। পাবলিকে চান্স না পাওয়া মানে হেরে যাওয়া না আর মানসিক দূর্বলতা কোন বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের কাছে না প্রকাশ করাই শ্রেয়।
শুভ কামনা থাকলো নতুন কলেজে।

মোহাম্মদ আসিফ নূর
সাবেক শিক্ষার্থী,
প্রফেশনাল বিবিএ
শিক্ষাবর্ষঃ ২০১৪-২০১৫

Tuesday, October 16, 2018

কারণ তুমি যে সুহাসিনী

এক নির্বাক চোখের মায়াতে জীবন সচল হয়েছে। মুগ্ধতায় ভরে যাচ্ছে প্রতিমুহুর্ত। অনুভব করার শক্তিটা হয়েছে গাঢ়। প্রিয় থেকে সে এখন "প্রিয়তা"। যোগ হয় ভালো লাগা কিংবা রাগ। কিন্তু ভালোবাসা বাড়ছে। মনের যে দেয়ালে তোমার নামটা লেখা সেটা আরো দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। সময় এগিয়ে যাচ্ছে সময়ের মত। সুন্দর পরিবর্তন একে একে ধরা দিচ্ছে। যে স্বপ্ন রাতের ঘুমে কিংবা কল্পনায় দেখতে ইচ্ছে হতো, সেটা কিছুটা হলেও ধরা দিচ্ছে আপন মনে। রংতুলির ক্যানভাসে আঁকা তোমার আমার স্বপ্ন মিলে গেছে। হিম শীতল হয়ে ভেসে বেড়ায় তোমার চঞ্চলতা। আমাকে স্পর্শ করে; ক্লান্তিগুলো মুছে দেয় নিমিষেই। দিনশেষে তোমার "হাসি" আমায় ছুঁয়ে যায়, নিবিড়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়...
কারণ তুমি যে সুহাসিনী ❤

Sunday, September 30, 2018

হঠাৎই ছন্দপতন সেই জমকালো আয়োজনের

হঠাৎই ছন্দপতন সেই জমকালো আয়োজনের। সৃষ্টিবোধের তৃপ্তি সবাই বোঝে না। তাই অবুঝের মত বিধ্বস্ত হতে দেখে কারো কারো অনুভুতি-ই জাগে না। মমতাবোধ হয়ত মনে টইটুম্বুর কিন্তু পরম সুখ ভঙ্গের দায় সে নিতে চায় না। যদিও সে অপরাধের বিশালতায় ডুবে রয়েছে কত আগেই। নির্ঘাত স্বপ্নভঙ্গ কেউ চায় না। তবে ঘটনার দূর্ঘটনায় আহত মনের স্বপ্নভঙ্গ হবেই। এক আকাশ বিশালতার বিপরীতে ক্ষুদ্র তাচ্ছিল্য হৃদয়কে টুকরো করে ফেলে। প্রতিটি চরিত্র যখন সামনে ভাসে, তখন আপন মন হেসে আবার নিজেকে কাঁদিয়ে দেয়, কারণ ভুলটা নিজেরই ছিলো। ছিলাম নষ্টের গোড়া। তবে পুরো কাহিনীতে শ্রেষ্ঠাংশ জুড়ে ছিলো ধোঁয়াটে বেদনা। আজন্মলালিত চাওয়া-পাওয়া গুড়েবালি হয়ে যায় অক্ষত এক অপ্রাপ্তিতে। তবে সুন্দর যাত্রাতে শুভকামনা জানাতে লেখকের কুণ্ঠাবোধদয় নেই। এ যাত্রা শুভ হোক। এটাই চাওয়া।

Saturday, September 22, 2018

ভালোবাসা হয়ত এমনই

ভালোবাসা হয়ত এমনই, যেমনটা তোমার আমার ভাবনা মিলে যায়। অভিমানে জড়ানো একগুচ্ছ কথার পরেই তোমার রঙ্গিন যত্মগুলো আমাকে ঢেকে দেয় পরম আদরে! অনেক ব্যস্ততার পরেও তোমাকে কয়েক সেকেন্ডে জিজ্ঞাসা করা,"এই খেয়েছো?" তোমার উত্তর না হলে আমার ঝাড়ি! মাঝে মাঝে তোমার হাতের রান্নাটা বেশ হয়! আর তোমার সারপ্রাইজগুলো আমাকে মুগ্ধ করে। রাতের আকাশে উজ্জ্বল চাঁদ-তারার সম্মেলন ঘটলে তোমাকে নিমন্ত্রণ জানাই দেখার জন্য! কখনই বিরক্ত হও না আমার কঠিন ভাষার কবিতাগুলো যখন আবৃত্তি করে শোনাই। বিদায় দেয়ার আগে কয়েকবার করে তাকাও আমার দিকে আর মনে বলতে থাকো, "সাবধানে যেও"।
(সুন্দর ও স্বচ্ছতার একটা গল্প)

Monday, September 10, 2018

অনুর আত্মকথা

অনুতাপের অগ্নিদাহ জ্বলে অন্তরে,
অনুশাসনের শক্ত রশি বাঁধে মোরে।
অনুযোগের অনুমতি নিয়েও যেন নেয় না,
অনুমিত আচরণেও শতেক ভুলের যন্ত্রণা।
অনুগত আমার দর্শন, অন্য কাউকে পাইনা,
অনুনয়ীর কথা বলে দেখি, মিথ্যে বন্দনা।
অনুধাবিত আমার আকাশে, বিক্ষুদ্ধ মেঘে ভরা,
অনুমেয় হিংস্র আমি, মানুষের মন গড়া।
অনুক্ষণে শোধাই আমায় জানে শুধু ঈশ্বর,
অনুপদে নিজস্বত্তা, বাঁচুক সারা নশ্বর।

Sunday, September 9, 2018

"একটি সম্পূরক কবিতা"

সহজ গল্পে কঠিন লাইন
সহগ মিলানো দায়,
সমতা নিয়ে কত যে কথা
সমাজ তো না চায়।
সময় হারিয়ে নিয়তি যখন
সব কিছুই খোয়ায়,
সহ্যসীমায় এটাই বাকী
সবার বদদোয়ায়।
সকাল বিকাল কানের কাছে
সদা সত্য বাক্য,
সমান তবুও কেন যেন
সমগ্র দূর্ভাগ্য।
সমীকরণ মেলাতে কেউ
সমস্ত সুর হারায়,
সসীমতার বেড়াজালে
সকল সুখ তাড়ায়।
সক্ষমতার বিশাল সাগরে
সক্রেটিসও ব্যর্থ,
সক্রিয়হীন চিন্তা সাধন
সমাদর ছাড়া ধূর্ত।
সমাধানহীন অবাধ সাগরে
সস্তায় দেই ডুব,
সবাই মোরে ভুলে যাবে
সহিষ্ণু আমি চুপ।

[৯/৯/১৮;সন্ধ্যা ৭.৫৮]

Monday, September 3, 2018

একজন শিক্ষকের বিদায়

"থাকো আসিফ, আর দেখা হবে না। তোমাদের ছেড়ে অন্যত্র যাচ্ছি।" আসলে কথাগুলো হয়ত কম বা ছোট। কিন্তু একজন শিক্ষক যখন তার বিদায় মুহুর্তে এই কথাগুলো বলে তখন মনে একটা কাঁপন ধরে। আর কি দেখা হবে না? কিছু শিক্ষক মনে দাগ কেটে থেকে যায়; মহানুভবতা, সহিষ্ণুতা আর পরম উদারতা দেখিয়ে। স্কুল, কলেজ লাইফে অনেক স্যারকে নতুন চাকরী পাওয়ার পর চলে যেতে দেখেছি। তবে সবার জন্য মন খারাপ হয়নি।
স্কুল লাইফের শান্তুনু কুমার সিংহ স্যার, সালাউদ্দিন স্যার, জামান স্যারের জন্য খারাপ লেগেছিলো। কলেজে কারো বিদায়ে তেমন খারাপ লাগে নি। তবে ভার্সিটিতে এসে কারো কারো বিদায়ে বিষন্নতা কাজ করে। হয়ত শরীফুল স্যারের সাথে ব্যক্তিগত জানাশোনা কম হয়েছে কিন্তু পড়াশুনা সংক্রান্ত অনেক সহযোগিতা স্যারের থেকে পেয়েছি। ৬ষ্ঠ সেমিষ্টার পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষার আগের দিন আহমেদ স্যার আর শরীফুল স্যারের কাছে সাজেশন আনতে যাবা পর তারা যেভাবে ২ ঘন্টায় বইটি পুরো বইটি রিভিউ করলো, তাতে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। ঐ পরীক্ষা খুবই ভালো হয়েছিলো। শরীফুল স্যার বড় একটা পড়ার টপিককে ছোট করে চিত্রের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতো ক্লাসেই। পড়াশুনা ছাড়াও বাহিরের টুকিটাকি ব্যাপারে ক্লাসে আলাপ শুরু হলে অল্প কথাতে স্যার ব্যাপারটা বুঝে যেতো। তবে আজকে আমার প্রতি স্যারের শুভকামনা ভালো লাগলো। আমি জানি আমার কথাগুলো অগোছালো ভাবে লিখে যাচ্ছি, কারণ বিদায়টা সবাইকেই কাঁদায়। যেই শিক্ষকরা তার ছাত্রদের সাথে করমর্দন করে, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মানে মাথা নুয়ে আসে। বয়সের কোটা কাছাকাছি হবার পরও ছাত্রদেরকে নিজের কাছের মানুষ ক'জন শিক্ষকই বা মনে করে? হয়ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মানুষদের মন এতটাই উদারতায় টইটুম্বুর থাকে যেখানে জগতের অন্যসব মানুষদেরকেও তারা দামি মনে করে। হতে পারে সেই মানুষটি শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত। ভালো থাকুক আমার প্রিয় শিক্ষকরা। নতুন কর্মস্থল আপনার জন্য শুভ আর সুন্দর হোক।
আর একজন প্রিয় শিক্ষক চলে যাচ্ছেন তবে বাকীরা আশেপাশেই আছেন।

And the fact is, যেখানেই থাকুন না কেন, আপনাদেরকে খুঁজে নেবো সঠিক সময়ে। কারণ আমার বিয়ের কার্ডটা তো আপনার হাতে পৌঁছে দিতে হবে।

Friday, August 31, 2018

মানসিক শক্তি

হয়তবা তখন উন্মুক্ত চিন্তা ঝাঁপিয়ে বেড়াতো। মুক্ত একটা আকাশে নিজের ইচ্ছেগুলো ছড়িয়ে দিবো, ক্যানভাস বানাবো সেই আকাশটাকে। বড় বড় চুল, সাথে গিটারের মূর্ছনায় গলা ছেড়ে একটার পর একটা গান হবে। যেখানে নতুন প্রেমের উচ্ছ্বাসে ঘুম হবে না। পাশেই বন্ধুদের তাশ খেলা চলবে। গিটার রেখে চাদর মুড়ি দিয়ে শীতের রাতে আবাসিক হল থেকে বের হয়ে এলাকার পুরোনো চায়ের দোকানে গরুর সরের চা খাব। হলে ফিরে ২-৩ ঘন্টার মরা ঘুম আর তারপর তড়িঘড়ি করে ক্লাসে গিয়ে স্যারের বকুনি শুনে ক্লাসের বাইরে পায়েচারী। ক্লাস শেষে বন্ধুদের নিয়ে নোটগুলো রেডি করা আর দুপুরে ২০ টাকায় নিজের উদরপুর্তি। খাওয়া শেষে ক্যাম্পাসের সবচেয়ে বড় গাছটার নিচে বিশ্রাম নেয়া আর পোড়া মনে একটা গানের সুর তোলা। শুয়ে শুয়ে আকাশ দেখা আর তাঁকে অনুভব করা। নিজের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুটিকে ভালো লাগা কিন্তু কখনই তাকে না বলা। রাত ৩টায় বন্ধুর অসুস্থ হয়ে যাওয়া আর বাকী রাতটা হাসপাতালের চেয়ারেই তার জ্ঞান ফেরার অপেক্ষা। চোখ খোলার পরই ঠাস ঠুস দুটো চড় দেয়া ; কান্নাভেজা কন্ঠে তাকে ঘুমের ওষুধ না খাওয়ার প্রতিজ্ঞা করানো......
_________________________________

একাডেমীক দূর্বলতায় হয়ত স্বপ্নগুলো বাস্তব হয়নি। অধরা সপ্নের মাশুল গুনতে হয় আর সেটাকে চেপে দেয়া যায় না। নিজের মানসিকতাকে বিস্তর পর্যায়ে রাখতে বিশালতা দরকার। বিশাল আকাশ যে দেখেনি সে কখনই এর মর্ম বুঝবে না। "সবাই আমার কাছে সমান" এই কথাটুকু খুব কমই শোনা যায়। আর ২ থেকে ৩ জনের মুখে এই কথা শুনেছি। সবাই বলতে পারে না এই বড় কথাটা। বললেও সেটাকে ঠিক রাখতে পারে না। মনুষ্য চিন্তনে শুধু ঠেলে পিছে পাঠানোর প্রতিযোগিতা চলে। দৌড়াতে গিয়ে ল্যাং মারা বা হাডুডু খেলায় পারদর্শিতা এখানের যথেষ্ট উদাহরণ। নিজে নিজে এক প্রকার "দম্ভ খেলা"র উত্থান করা আর বসে বসে সেটাকে উপভোগ করাটা; হীনমন্যতার আরেকটা বৈশিষ্ট্য। নিজের আখের ঠিক রেখে বাকী দুনিয়ার অশান্তি শান্তিতে অনুভব করার নগ্ন চরিত্র রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। আমাদের চিন্তার অপরিপক্কতা আর অসষম জীবনাচরণ থেকে পরের প্রজন্ম সেই দুশ্চরিত্র মনোভাব অর্জন করবে। জাতিগত ভাবে হয়ত এইকারণেই আমরা পশ্চাদপদতায় ভুগছি। যখন একটা প্লাটফরমেই আমাদের অসষম আর হীন প্রতিযোগিতা, জোটবদ্ধ হয়ে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হয় সেখানে আর যাই হোক জাতির অগ্রদূত তৈরি হয় না। হাস্যোজ্জ্বল আর প্রাণোচ্ছল একটা গণ্ডি হারিয়ে যেতে বসে। স্বভাবতই সেখানে কিন্টারগার্ডেনের মত ভালো ফলাফল নিয়ে কাড়াকাড়ি লাগে কিংবা পুরাতনদের বিদায়ে নতুন চাটুকারদের উপস্থিতি তৈরি হয়। ঠিক যেন দেশীয় রাজনীতির প্রভাব; সবখানেই চর্চা চলে।
আশংকার জাল মনে দানা বেঁধেছিলো আজ থেকে আরো কয়েক বছর আগে। সেটাই সত্যি হতে চলেছে। তবে কিছু কাঙ্ক্ষিত বা অনাঙ্ক্ষিত মায়াজাল আমাদের বেঁধে রাখে। আর তাদের জন্যই হয়ত "সাহস" হারিয়ে যায় না। উপরন্তু, প্রতিরোধের শক্তি হিসেবে কাজ করে এবং আরো শক্ত করে তোলে।

Wednesday, July 11, 2018

পতিতা

হারায় সকাল হারায় সতেজ
একাগ্র একাকীত্ব,
শতেক বার লাঞ্ছিত সে
হারায় সতীত্ব।
সুশীল সমাজ একঘরে করে
দেয় বার বার গালি,
আঁধার হলেই কিছু সুশীল
মদের দোকানে হাতে তালি।
অনেক কঠিন পাথর চেপে
কেউ নামে এই পথে,
কার মন চায় নিম্ন হতে
লালসা কামনা ছুঁতে?

বিয়ের পর যেই বঁধুর
ঘর বাঁধার ইচ্ছে,
যে-ই স্বামী তার দেখালো স্বপ্ন
সে-ই কুঁড়েকুঁড়ে খাচ্ছে।
মিথ্যে জবানবন্দি দিয়ে
বেঁধে রাখে একঘরে,
"সর্বনাশী তুই" আখ্যাকারীদের
অপেক্ষায় থাকে বাইরে।
ভালো হবার সকল পথ
বন্ধ হবার পথে
কার মন চায় নিম্ন হতে
লালসা কামনা ছুঁতে?

শিশুর মুখের রুটি জোগাতে
কাজের খোঁজে হয়রান,
শেষমেষ নিজে বিক্রি হয়ে
সয়ে যায় অপমান।
দিনশেষে তার মাতাল স্বামী
ঘরে এসে নেশা ধরে,
যাচ্ছেতাই গালিগালাজে
তুলোধোনো করে মারে।
দুচোখ মুছে ছোট শিশুটি
দরজার কোনে দাঁড়িয়ে,
বড় শহরের বড় মাস্তান হয়ে
ঠিকই গেছে হারিয়ে!
ভালো হবার সকল পথ
বন্ধ হবার পথে,
কার মন চায় নিম্ন হতে
লালসা কামনা ছুঁতে?
(আসিফশেহজাদ)

Wednesday, June 27, 2018

বন্ধুত্ব

ভালো থাকার মুহুর্তগুলো, চোখেতে মোর ভাসে।
বেঁচে থাকে স্মৃতি হয়ে, সুনীল সে ক্যানভাসে।
আলোর ঝিলিক স্পর্শ করে, হাতের পশমে
মিশে আছিস সবাই তোরা, হৃদয় মরমে।
দু'একটা রাগের কথায়, ছিলো ভালোবাসা
হঠাৎ করেই যাসনে ভেঙ্গে, ছেড়ে এত আশা।
বন্ধু সে তো যায় ছেড়ে থেকে যায় প্রাণে,
বেঁধে রাখে মোরে, অচেনা সূরে।
হাঁটে না বহুদূরে।
বইয়ের ভাষাতে বিদ্বান কেউ, কেউবা বুদ্ধিমান,
কারো আছে জমিদারি, জারি করে ফরমান।
কেউবা আবার নেতার সমান, বলে কত উক্তি,
চায় সে সকলের সম্মানটা, করুক তারে ভক্তি।
বন্ধুর মাঝে কেউ নেই উঁচু, যদি জানে সংজ্ঞা
বন্ধুর মাঝে হয়না কখনো, দ্বিধাময় দাঙ্গা।
বন্ধু সে তো যায় ছেড়ে থেকে যায় প্রাণে,
বেঁধে রাখে মোরে, অচেনা সূরে।
হাঁটে না বহুদূরে।

Tuesday, June 26, 2018

আমাদের আমরা


অভিজ্ঞতার জোরে
সায়েম হয়ে গেলো কাকা,
অনিক নামের সেই ছেলেটা
রয়ে গেলো আজও বাঁকা।
তারেক আবার নতুন করে
খোঁজে প্রেমের মওকা,
আরাফাতের বাসার সবাই
ডাকে তারে বোকা।
রাকিব মিয়া গাজা খায়
কিন্তু চালাক খোকা।
জান্নাত শুধু আচার পেলেই
হয়ে যায় তার পোকা,
রাফা নামের সেই মেয়েটার
ব্যাগে কেন এত টাকা!
লিজা বানায় ফিরনি-নুডুলস
এতে সে যেন পাকা।
আমি নামের সেই ছেলেটা
রয়ে যাই শুধু একা।

Thursday, June 7, 2018

জীবন যখন

জীবন যখন জড়িয়ে যায়,মায়ার আবডালে,
জীবন্ত সেই স্বত্তাগুলো, প্রেমের পাখা মেলে।
জীর্ণ মনে বারবার বলে, কোথায় পাবো ঠাঁই,
জিদ চেপে যায় মনের দেয়ালে, তোমাকেই আমি চাই।
জিতে যাওয়া তুমি আজ, ভালো থাকবে কাল-ও
জীর্ণদশা আবার ছোঁবে, প্রেমময় সব হারালো।

Friday, May 11, 2018

মন তুষ্টি

আমার কাছে যা সহজ আর সাবলীল তা সমাজের কাছে অর্থ উপার্জনের মূল হাতিয়ার না। "ভাল গানের গলা, খন্ডকালীন অভিনয় বা লেখালেখি দিয়ে পাঠকের মন তুষ্টি অর্জন" এসব দিয়ে কি আর অর্থ সম্পদের মুখ দেখা যায়? তবে সম্মানটা টাকা দিয়ে কেনা যায় না।

Sunday, May 6, 2018

পোড়া ধূপ

হাজার ভিড়ের মাঝে তুমি,
হে মোর প্রমীলা দেবী,
সূর্য ভেবে পরম সুখে
আপন করলো কবি।

না বলা এক ভালবাসা
গড়ে দিলো বুক জুড়ে,
কবির জবানে প্রস্তাব দানে
উড়ে গেলো সব ঝড়ে।

চুপসানো মোর ভালোবাসা হায়
লুণ্ঠিত দুয়ারে তোমার,
আমরা তো ভাই অজাত সংসারী
সামলাই মোরে আবার।

গানের মাঝে তোমায় রাখি
ভাবো; সবই সত্য কিনা!
মিথ্যার সাথে লড়েছি বলেই
আজ বিত্ত-বৈভব বিনা।

আমার সরল কাশবন আজ
লুটায়ে তোমায় পায়ে,
তুমি রেগে বলো করছো একি!
ডানে যাবে নাকি বাঁয়ে।

যে হরিনীর চোখ আমার
মন নিলো যে কেড়ে,
ফিরিয়ে দেবে অনাথ হেতুতে
কি ভীষণ; হাল ছেড়ে!

রাতের আঁধারে আমার শুভ্রা
কিংবা প্রমিলা দেবী,
ভালোবাসবো কারেই বলো?
ভেতরেতে যার ছবি?

ছবির মতন দেখেই বলে
আসলাম কত আশায়,
ফেরার জন্য কিছু লাগে না
ভবিষ্যৎ নিয়ে শাসায়।

চোখের প্রেমে মগ্ন আমি
হাত বাড়িয়ে আমি তখনও,
তুমি বলো; পথ ছাড়ো নি?
নিচুমান তুমি; বসে আছো এখনও।

শুভ কামনা করি না তোমার
বলি; বেশি ভালো থাকো খুব,
আমার ছায়াটি মুছে যাক আজি
হয়ে থাক পোড়া ধূপ।

৫/৫/১৮

Sunday, April 22, 2018

আত্মজ্ঞানী

প্রত্যেক মানুষের একটি কেন্দ্রীয় আত্মজ্ঞানের ভাণ্ডার থাকে। আত্মজ্ঞানীরা সমাজের ক্ষতিকর প্রাণী হয় না। কারণ অভিজ্ঞতা ও বয়স তাকে তিক্ত পরিস্থিতিতে ফেলে শিক্ষা দান করে। সমাজের কীট-পতঙ্গ চিনতে সহায়তা করে। দরুণ পরিণতি থেকে উদ্ধার হওয়া শেখায়। আর সঙ্গী হয়ে সহায়তা করে "সময়"। নিজেকে কিছুই করতে হয় না। সব কিছুর উত্তর "সময়" প্রদান করে। এটা প্রকৃতিগত সৃষ্টিশীলতাও বলা যেতে পারে। একদিন সব বদলে যাবে সেই আত্মজ্ঞানের সাধনে। তখনই মূলত উপঢৌকন ও উপলব্ধি কে আলাদা করা যাবে। হয়ত উপলব্ধিকারীকে "সময়" কোন সহায়তা দেবে না। আত্মজ্ঞানের সাধকরা এই আশাটুকু করতেই পারে।

আত্মজ্ঞানের ইতিকথা

প্রত্যেক মানুষের একটি কেন্দ্রীয় আত্মজ্ঞানের ভাণ্ডার থাকে। আত্মজ্ঞানীরা সমাজের ক্ষতিকর প্রাণী হয় না। কারণ অভিজ্ঞতা ও বয়স তাকে তিক্ত পরিস্থিতিতে ফেলে শিক্ষা দান করে। সমাজের কীট-পতঙ্গ চিনতে সহায়তা করে। দরুণ পরিণতি থেকে উদ্ধার হওয়া শেখায়। আর সঙ্গী হয়ে সহায়তা করে "সময়"। নিজেকে কিছুই করতে হয় না। সব কিছুর উত্তর "সময়" প্রদান করে। এটা প্রকৃতিগত সৃষ্টিশীলতাও বলা যেতে পারে। একদিন সব বদলে যাবে সেই আত্মজ্ঞানের সাধনে। তখনই মূলত উপঢৌকন ও উপলব্ধি কে আলাদা করা যাবে। হয়ত উপলব্ধিকারীকে "সময়" কোন সহায়তা দেবে না। আত্মজ্ঞানের সাধকরা এই আশাটুকু করতেই পারে।

Tuesday, April 10, 2018

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে কিছু কথা

আন্দোলনটা কোটা বিরোধী নাকি কোটা সংস্কার সেটা নিয়েই তো কোন্দল। আর মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে হাসাহাসি করছেন কিংবা উপহাস করছেন সেটার কোন যৌক্তিক কারণ আছে কি? শারীরিক প্রতিবন্ধী কিন্তু মেধা আছে। তারা কি চাকুরী পাবে না? তবে হ্যাঁ কোটা পদ্ধতির সংস্কার দরকার। ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটার বেশিরভাগই শুণ্য কোটা থেকে যায়।আর আমিও একজন মুক্তিযোদ্ধার গর্বিত দৌহিত্র। এডমিশন পরীক্ষাতে কোটা ব্যবহার করিনি। করলে হয়তো চান্স পেতাম। যোগ্যতার অভাবে ভর্তিযুদ্ধে হেরে যাই। তবে অন্তত মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে উপহাস না করা উত্তম। কারণ সেই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার দাদা, নানা হারায়নি, হারিয়েছে ঘরবাড়ি হারিয়েছে সব। ঠান্ডা মাথায় ভাবুন আর সংস্কারের আন্দোলন করুন, মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করে নয়।

Monday, April 9, 2018

একা

দিন-খন একা যার, নির্ঘুম একা তার
যখন বিছানায় পড়া,
কথাহীন কাব্য, অলিখিত শ্রাব্য
যখন আমি আধমরা।
চেনা সুখ অচেনা, অপেক্ষারা ঘোচেনা
কবে যাবো বাড়ী,
সুন্দর সুস্থ, সকাল কবে দেখবো
দেখবো কাজের সারি।

ব্যস্ততা ভালো রাখে,
সব থেকে খুব
অশান্তির মৃতমেলা
থেকে দেয় ডুব।
9/4/17

Wednesday, April 4, 2018

নারী

নরম কথার সাধক সেজে
নিয়মিত নারী নত,
নরক হয়ে দেখিয়ে দিলে
নিঠুর হায়রে কত!

নম্র আচার ব্যবহারে
নিরব প্রতিশোধ,
নর জাতির শক্ত ভাঙ্গা
নিয়তিরই অবোধ।

নখ তোমার প্রখর খুব
নিন্দা করা ভুল,
নম হাতে কবুল করে
নিলামে আজ মূল।

নন্দিত আজ অবলাজাতি
নিন্দিত কেন নর?
নতুন গানে নেচে বেড়ায়
নিকষ কালো জড়ো।

নবাবজাদি জুটলে ভাগ্যে
নিরবে বাঁচা মরা,
নম্র হয় নর জাতি
নিত্য শোষণে ধরা।

নসিবে কার কি যে আছে
নিমেষ নাকি সুখ,
নবাগত যে আসবে আমার
নিষ্পাপ তোর মুখ।

নব আলোয় কামনা আমার
নিত্য হোক চলাচলে,
নবাব হয়ে বেড়ে ওঠ তবে
নিয়মিত প্রাণাঞ্চলে।
২১/০৪/১৮

Thursday, March 29, 2018

ফেরা

(উৎসর্গ: Alamin Sikder Tasfin Ashraf)

ব্যথিত মনে সুজনের ঘরে
আসিলাম হুট করে,
মোরে দেখিয়া সুজন আমার
হইলো ব্যস্ত আহারে।

কতকাল যেন দেখিনি তোরে
চোখের মনিতে লাল রেখা,
এতকাল পরে পাহিলাম আমি
হবি না তুই আর একা।

ঘুরে দেখিলে পাইবি প্রাণ
আমার গ্রাম কূলে,
শতেক সবুজ আর মাঠ-প্রান্তর
বসবি বটের মূলে।

রুপোর জল খুঁজে পাবি তুই
যেখানে আছে নদী,
আহত মন তোর হয়ে যাক আজ
প্রিয় প্রাণ আমোদী।

আসিলাম আজ আপন কর্মে
পাইলাম নব সুখ,
কিভাবে দিবো প্রতিদান তোর
এঁকে চন্দন মুখ?

অশনি কাটিতে জীবন যখন
নূহ্য যেথাসেথা,
তখনি প্রাণ পাইলাম ফিরে
লিখে রাখলাম এই কথা।
২৯/০৩/১৮ইং
বিকেল ৫.১









Wednesday, March 28, 2018

ধ্রুপদী ধৈর্য

যাচ্ছে ক্ষয়ে যাক না বয়ে
শুকনো সেই নদী,
জোয়ার ভাটায় পূর্ণ ছিল
ছিলো নিরবধি!

বৃষ্টির জলে হয়না পুরণ
অবাক সেই নদী

বুঝেই তো হওনি আমার
মিলেয়ে লাভ-ক্ষতি
জোয়ার ভাটা হারিয়ে গেলো
হায়রে নিয়তি

বিষাদকাহন হলো সূচন
আহত অবধি

[হারানোর গল্পটা
কেউ যে জানে না
চেনা মানুষ হঠাৎই
হয়ে যায় অচেনা
রিমঝিম সেই বৃষ্টি
আর বহু শব্দের বজ্র
গড়েছে এখন যেন
ধ্রুপদী ধৈর্য।]
২৮ মার্চ,১৮

Saturday, March 24, 2018

ইচ্ছে সবুজ

ইচ্ছে সবুজ, যেন চিরপ্রাণময়
অন্তদহনে কেন, ক্ষণপ্রাণ ভয়?
ছড়িয়ে আবেশ সত্যাপনের
পুড়িয়ে ছল মিথ্যে মনের।
সরব যেন বাঁচার আকুতি
মরে বেঁচে কার কি ক্ষতি।
সবুজ বাঁচাই মনের সবুজ
এখনও সে যে বড়ই অবুঝ।
দিন দুনিয়ার হালচাল কি
অবুঝ মনে সবই না মেকি।

সব বন্ধুর জেনেও যেন
অচেনাকে ভালোবাসা,
চেনা হয়ে ফের অচেনা
এ কেমন দ্বিত্ব ঠাসা।

এখনও প্রাণ আছে, সেই সবুজবাগে
ঠাঁই নেই ক্ষেদ, কিংবা অনেক রাগে।
হারায় না কোন পুরোনো গল্প
আসে যায় দু'এক রঙ্গিন অল্প।
অন্ন জুটবে না, সেই ভয়ে ফেলে।
অন্নপূর্ণা হয়ে, মেশে আলোর জলে।
বড় ছেদ, এঁকে হৃদপটে
যার যায়, দিল তার টুটে।

এত কালো জেনেও যেন
অচেনাকে ভালোবাসা,
চেনা হয়ে ফের অচেনা
হারাই আমার ভাষা।
২৪/৩/১৮

Thursday, March 22, 2018

এক ও অন্য

এক শহরে সুখের বৃষ্টি
অন্য ঘরে ঝড়,
এক মনেতে আশার আলো
অন্য হৃদে জ্বর।
এক সময়ে ভালো থাকা
অন্য মূহুর্ত কালো,
এক গ্রহেতে স্বর্গীয় প্রাণ
অন্য পুঞ্জে হারলো।
এক বাগানে ফুলেল সুভাস
অন্যপাশে জঞ্জাল,
এক আকাশে অনেক তারা
অন্য-কাশে বেড়াজাল।
এক যে দূরে তুমি কোথায়
অন্য কারো দেবী,
এক সে আমি হয়নি কারো
অন্য সুখের চাবী।
এক সে তুমি কথা দিয়েছিলে
অন্য আমি আশায়,
এক যে আমার কথাটুকু আজও
অন্যতম ভালোবাসায়।
এক সে সুদিন আসলো না আজও
অন্য পাশে সুখ,
এক যে আঁধারে আটকে গেছি
অন্য এক দুঃখ।
২২/৩/১৮

নতুনে ভুলি নাই

তুমি ফুরায়ে গিয়েছো কবে আমিতো চলে যাব; বলে, থেকে রয়েছি এতক্ষণ হারিয়ে যাবার গল্পে কে আগে? কে পরে? শুন্য আকাশ তলে আমি একজন, একা। তোমারি আশাতে ছ...