Thursday, January 26, 2017

ভাবনা-চিন্তাঃ ৫ম পর্ব

গতকাল সারাদিন সমাজতন্ত্র আর ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে পড়ছিলাম। একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়। ঘোর ভাঙ্গলো আজকে সুন্দর একটা দৃশ্য অবলোকন করতে করতে। Socialism আর Secularism নিয়ে আরেকদিন বলবো।
যাই হোক, আসার পথে দেখলাম এক বৃদ্ধাকে এক নওজোয়ান ছেলে এক প্যাকেট বিরিয়ানী হাতে দিলো। বৃদ্ধা এইটুকু পেয়ে মহাখুশি, দেখার মত হাসিটা। নওজোয়ান ছেলেটাকে দেখে মনে হলো কোন বিল্ডিং এ লেবারের কাজ করে। সামারি হচ্ছে, আশেপাশে কোথাও মিলাদ হয়েছে, তাই তারাও বিড়িয়ানি পেলো।
আমার পয়েন্ট ২ টাঃ
১/ আজকাল মসজিদ, বাসা-বাড়িতে দোয়া বা মিলাদ শেষ হওয়ার পর তবারক দেয়ার দৃশ্য যদি কেউ দেখে থাকে তাহলে সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষের কথা মনে পড়ে যাবে। বাচ্চা, জুয়ান-বুড়া, শিক্ষিত-অশিক্ষিত মিষ্টি বা খাবার পাওয়ার জন্য পাড়াপাড়ি লাগিয়ে দেয়। কেউ কেউ দুই হাতও বাড়িয়ে দেয়, এক হাত এই পাশ থেকে অন্য হাত অন্য পাশ থেকে। ঐ সময় এক এক জনের চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকলে বুঝা যায় আমরা কত ছোট মানসিকতার! (থাবাথাবি বিশেষ লক্ষণীয়)
২/ বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকা বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, ভিক্ষুক খাবার পায় না। (তবে অনেক জোয়ান মানুষও ইচ্ছে করেই ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে)। তাদেরকে খাবার দেয়া যেতে পারে। গরীবরা তো ভাল ভাল রান্না করে খাওয়া বা কিনে খাওয়ার সামর্থ নেই। মিলাদ বা দোয়াতে এসব সোমালিয়ানদের (খাবার পাওয়ার জন্য যারা থাবাথাবি করে) না খাইয়ে ঐসব পথমানূষদের খাবার দেয়া গেলে সর্বশক্তিমান বেশী খুশি হবে।

কোনো দোয়া বা মিলাদ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া অনেক আগেই বন্ধ করেছি। আর খুব পরিচিত না হলে যাই না এই ধস্তাধস্তির মধ্যে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, সামাজিকতা রক্ষার ভয়ে এসব সোমালিয়ানদের খাওয়াতে হয়। না হলে যে দোয়া কবুল হবে না। (কবে এই ভ্রান্ত আর বিশৃঙ্খল সিস্টেম বাঙ্গালীদের থেকে যাবে? )

Monday, January 23, 2017

ভাবনা-চিন্তাঃ ৬ষ্ঠ পর্ব


এই শিশুটি কোন রাজনীতির সাথে যুক্ত? তার মা কি করেছে? রিমান্ডে তারা???

যতই সাজগোজ করি না কেন, যতই ফিটফাট থাকি না কেন। সত্যের মোড়কে মিথ্যাকে ধবধবে সাদা ভাবি। নিজেকে নানান শ্রেণী, রকমের ধার্মিক সাধু জাহির করি। ঈশ্বরের নাম জপা কেই স্বর্গ পাওয়ার পুলসিরাত মনে করি বা নিয়মতান্ত্রিকতায় নিজেকে নানা রকমের শপথ-ওথে প্রতিষ্ঠিত করি। কালো কাপড় আর মোজা জড়িয়ে নিজেকে সতীসাধ্বী বুজুর্গি ভাবি না কেন, সাদা এপ্রোনে ধর্মের জগতে মাদার সাজি। সিজদার ঘষায় কপালে ঘা করে ফেলি বা ভগবানের তুষ্টির লক্ষ্যে পাঠা বলি দেই না কেন। মানুষ হিসেবে আমরা আমাদের দায়বদ্ধতার প্রশ্নকে উত্তরে পরিণত করতে পেরেছি??? আপনার ধর্ম কি পেরেছে জাগতিক মিথ্যে দূর করে ইনসাফ মিলিয়ে দিতে? আমি ধর্মকে দোষ দেই না। কারণ ধর্মের তো প্রাণ নেই। ধর্ম আমার দ্বারা ব্যবহৃত। অকারণে নিজের ধর্মের ধর্মকারীকে অন্যায় অপবাদকারীর এবাদত কি কবুল হয়? ভগবান কি আপনার প্রতি সহায় হবেন? ধর্ম কি আপনার মুখোশ? অধর্মচারীর থেকেও যে ধার্মিক মুখোশবাজরা অধম। তবে সত্য ধার্মিকরা সত্যজিৎ হয়।

Monday, January 16, 2017

ভাবনা-চিন্তাঃ ৪র্থ পর্ব


সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক Vs সরকারী আমলাতান্ত্রিক জটলা নিয়ে প্রচুর কথা হচ্ছে। কিছু ঘটনার পেছনে চরম সত্য লুকিয়ে থাকে, যা কেউ জানতে আসে না। আর জানলেও তা বলা আমাদের জন্য দুষ্কর শুধুমাত্র সাদা পোশাকের গুপ্ত বাহিনী বা তথ্য-প্রযুক্তির ৫৭ নং ধারার কারণে। তবে আইনের প্রতি সম্মান রেখেই লিখে গেলাম।

মিসরের মিটগামার ব্যাংক ছিলো বিশ্বের প্রথম সুদমুক্ত ব্যাংক। ১৯৭৪ সালে মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম সাহেব "ইসলামী অর্থনীতি গবেষণা ব্যুরো" প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে আরব আমিরাতে বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত "মোহাম্মদ মহসিন" বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠান, যে বাংলাদেশে একটা সুদমুক্ত ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা যায় কিনা। তৎকালীন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর বিষয়টি আমলে নিয়ে একজন প্রতিনিধি পাঠান মিসরে, বিভিন্ন ব্যাংক পরিদর্শনের জন্য যেগুলো শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালিত হয়। পরবর্তীতে OIC ভুক্ত দেশগুলো ইসলামী ব্যাংকিং ওপর এক সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর যোগ দেয়। তার আগ্রহ দেখে "ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক" কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরে বাংলাদেশে তার প্রতিনিধি পাঠায়। ১৯৮৩ সালে মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীমকে সাথে রেখে IDB বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে।
এই হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। যেখানে জামায়াত-শিবির, মওদুদীবাদ কিছুই ছিলো না। শুধুমাত্র সুদমুক্ত ইসলামী ব্যাংক গড়ার ইচ্ছা থেকেই এর শুরুটা হয়। ২০১৬ সালের আগ পর্যন্ত ব্যাংকটিতে কোন সরকারই হস্তক্ষেপ করেনি। তবে পরিচালনা পর্ষদ থেকে দেদারছে সবাই অব্যহতি নেয়াটা দৃশ্যত বেমানান। হঠাৎ করে সবাই-ই এতই অযোগ্য হয়ে গেলো ব্যাংক পরিচালনার জন্য? নাকি অদৃশ্যের হাত আছে? (শকুনের থাবা তো অবশ্যই আছে)
যারা এখন নিয়োগ পেয়েছে তারা অনেকটা উড়ে এসে জুড়ে বসার মত। কারোই যোগ্যতাসূচক শেয়ার ক্র্য় করা নেই, শেয়ার মার্কেটে ধসে এদের কারো কারো কালো তিলক এখনো মুছে যায় নি ইত্যাদি ইত্যাদি (রাজনৈতিকভাবেও এরা হোমরাচোমরা, পুটুতে সীলমারা রয়েছে)
ব্যাপার হচ্ছে কিছু গড়তে হলে কষ্ট করতে হয়, মেধা-পরিশ্রম লাগে।ভাঙার জন্য এসব রাজনৈতিক কাক গুলোই যথেষ্ট। উইকিপিডিয়া ঘেটে জানলাম সবাই ছিলেন qualified (আগের পর্ষদের)। এখনকার গুলোকে নিয়ে কিছু বলার নেই (মনে মনেই থাকুক)।
আর একটা কথা, ইসলামী ব্যাংকে চাকুরী পেতে হলে ইসলামী ইতিহাসই জানতে হবে ( রামায়ণের শ্লোক জানলে কিংবা চেতনাবাদীকে কেউ লিখিত পরীক্ষায় ধুচে না) । আর ইসলামী দলের আন্ডাবাচ্চারা জব পেয়ে যায় কারণ যতই গালিগালাজ আর চেতনা নিয়ে ভ্যা ভ্যা করেন, ছেলেগুলো পড়াশুনা করে ঐ পর্যন্ত যায়।
আরও বলতে চাইছিলাম। আজ আর না। থাক।।।

Sunday, January 15, 2017

ভাবনা-চিন্তাঃ ৩য় পর্ব


অনার্য-আর্য ছিল আমাদের আদিপুরুষ। কালের বিবর্তনের আর্যদেরকে বিচ্ছিন্ন করে ভারতবর্ষে জায়গা করে নেয় বিদেশী বণিকরা। স্থানীয় মানুষের সাথে লেনদেন, বসতবাড়ি, বিবাহ-বন্ধনে জড়িয়ে যায় কিছু বণিকরা। ভালোবেসে ফেলে এ দেশকে। যদিও দেয়ার নাম করে নিয়েই গেছে বিদেশীরা (এখনও নিচ্ছে)। দিয়ে গেছে কিছু শব্দ, যা আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করি। আরও দিয়ে গেছে কিছু ভালো-মন্দ গুণ।
আমরা বাঙ্গালীরা Unique জাতি হওয়ার পেছনে সকল জাতির অবদান আছে। সবার থেকে একটু একটু করে পেয়েছি আমরা 😂।
★***★
কিছু মানুষ খুবই কর্মঠ; জাপানিজদের মত।
কিছু মানুষ আত্মবিশ্বাসী; ফরাসি, তুর্কী বা রোমদের মত।
কিছু মানুষ সত্যবাদী; আফগানীদের মত।
কিছু মানুষ খুবি কৌশলী; বৃটিশদের মত।
কিছু মানুষ অনেকগুলো কাজে পারদর্শী; চাইনিজদের মত। (সাইন্সের টিচাররা 😂)
কিছু মানুষ খুব সুন্দর; রোমানিয়ানদের মত।
কিছু মানুষ সামাজিক; প্যারিসবাসীর মত।
কিছু মানুষ ধুরন্ধর বা ইতর স্বভাবের; ইন্ডিয়ানদের মত।
কিছু মানুষ রগচটা; পাকিস্তানিদের মত।
কিছু মানুষ অল্পতেই বিবাদে জড়ায়; আফ্রিকানদের মত।
কিছু মানুষ কৃতঘ্ন; বৃটিশদের মত (শুধুমাত্র লর্ড ক্লাইভের বংশধররাই, সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যাকারী)
★***★
তবে আঞ্চলিকতা নিয়ে লিখেও লিখলাম না। কারণ এসব নিয়ে কথা বললেই কথা বাড়ে, সম্পর্ক নষ্ট হয়। যাই হোক। সার্বিকভাবেই বলে গেলাম কথাগুলো।

হয়ত কেউ

ক্রোশ ক্রোশ পথ পেরিয়ে তোমার সীমানায় হামাগুড়ি; অস্পষ্ট, ঘোলা চোখ, কিন্তু ভেতরে একটু আশা যদি দেখা পাই তোমার!!!
বিধৃত মেঘ আমায় চলে যেতে বলে! বাতাসেরা ধুলোর ঝাপটা দিয়ে যায়!!!!
চোখ মুছতে মুছতে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আমি!!!
হঠাৎ মুঠোফোনে তোমার কড়া নেড়ে দেখে অবাক, তবে তুমি অম্লান..........
কারণ এমুখ হয়ত আর দেখতে চাও না!!!
ভাবছো হয়ত সেই রক্তিম চক্ষু নিয়ে বিভীষিকাসন এক আমি!!!!
কিন্তু কখনই ভাবতে স্ফার হইনি তোমার...... ছিলাম "হয়ত কেউ আমিও একজন"!!!!!
হয়ত কেউ!!!!

Friday, January 13, 2017

ভাবনা-চিন্তাঃ ১ম পর্ব

অনেকদিন ধরেই কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্নজট বেঁধেছিলো। একে একে সমাধান হচ্ছে, তাই ভাবলাম ফেবু এক্টিভ করে সবার সাথে শেয়ার করি।
আমি বেশ কিছুদিন ধর্মের উৎপত্তি, তাঁদের প্রবর্তকদের নিয়ে পড়ছি। তবে সারকথা এই যে, প্রত্যেক ধর্মই পূর্বের ধর্মের থেকে আধুনিকায়ন হয়ে এসেছে। মানে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। সেদিক থেকে "ইসলাম" ধর্মটি অনেক বিজ্ঞান সম্মত আর ধর্ম প্রবর্তক মোহাম্মদ (সঃ) একজন মনীষী ছিলেন বা অক্ষর জ্ঞান না থাকার পরও যেকোনো বিষয়ে যে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে তা প্রশংসার দাবীদার।

যাই হোক মূল কথায় আসি, অনেক সময় মনে সবারই প্রশ্ন জাগে, এত চেষ্টা করলাম কিন্তু আল্লাহ/ ভগবান/ঈশ্বর কেন মুখ তুলে তাকায় না?
উত্তর হচ্ছে আমাদের কথা, চাওয়া তার নিকট পৌঁছায় না।
তাহলে কেন আল্লাহ কবুল করে না?
আমাদের চাওয়াতে সেই একনিষ্ঠতা নেই বা আমাদের চাওয়ার পদ্ধতি ভুল বা আমরা বিপথগামী তাই সর্বশক্তিমান নাখোশ আমাদের ওপর।
মাঝে একটা ঘটনা বলি, আদম-হাওয়াকে নিষেধের পরও নিষিদ্ধ ফল গ্রহণ করে, জান্নাত থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর দুনিয়া থেকেই দুঃখ-কষ্ট শুরু হয় তাদের। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তারা দুনিয়াবি কষ্টের সাথে লড়ে গেছে। (সব ধর্মেই এইভাবে বলা আছে)।
ভুল বা পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়েছে তাদের। সেই দুনিয়াবী দুঃখ-কষ্ট নিয়ে আমরাও বেঁচে আছি।

আবার,নবী ইব্রাহীম (আ) এর কাছে এক অনাহারী এসেছিল, বিসমিল্লাহ্‌ না বলে খেতে শুরু করায় তাকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। অনুতাপী ইব্রাহীম আর কোন সন্ধান পান নি সেই লোকটির। পরবর্তীতে ইব্রাহিম অনেক বছর সন্তানের মুখ দেখেন নি আর জন্ম নেয়া ইসমাইলকে নিয়েও অগ্নিপরীক্ষা দিয়েছেন। ইসমাইল মুক্ত হলেও পশু কোরবানির নিয়ম শুরু হয়ে যায়। ভুল বা অন্যায় থেকে বাদ যায় নি নবী-রাসুল বা অবতাররাও।

একইভাবে, লোহিত সাগরের ইতিহাস পড়লে বুঝা যাবে। পূর্বপুরুষের পাপের কারণে সর্বশক্তিমান কিছুটা হলেও আমাদের (মানবজাতি) ওপর নাখোশ।
তবে এত কিছুর পরও বিধাতা কেউকে অভুক্ত রাখেনি। সর্বশক্তিমানকে অবিশ্বাসকারীকেও আলো, বাতাস থেকে বঞ্চিত করেন নি। নামাজ পড়ে না বলে আল্লাহ তার কোন বান্দাকে ত্যাগ করেনি। কিন্তু বিশাল পৃথিবীর মানুষরা কি বিশালত্ব অর্জন করতে পেরেছি? কাছে টানতে পেরেছি সেই অধার্মিক বন্ধুটিকে? নাকি নিজে একাই স্বর্গে যাবার চেষ্টায় ব্রত? নাকি ভালো জামাই, ভালো বউ পাবার জন্য মাথা ঠুকে যাই...!!!

চিন্তা-ভাবনাঃ ২য় পর্ব

আসন্ন বিশ্ব ইজতিমা নিয়ে অনেকেই উৎসুক, অনেকেই এটা পছন্দ করেন না। তবে আমার মিশ্র কিছু প্রতিক্রিয়া আছে।

১/ ১৬০ একর জায়গা নিয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রায় লাখখানেক মানুষের সমাবেশ ঘটে। এরা নামাজ, ধর্মীয় আচার পালনের শিক্ষাগ্রহণ করে ধর্মীয় গুরুর থেকে। কিন্তু ইজতেমায় আসা মানুষের লক্ষ্য কি? উদ্দ্যেশ্য কি?
অনেকের কাছে প্রশ্নের পর অগোছালো উত্তর পেয়েছি। যে শিক্ষাগ্রহণ করেছি তা ইহজগতে আর পরজগতে কাজে লাগাতে চাই; এই শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে চাই এলাকাবাসীর মাঝে; পূর্বের গোনাহের জন্য ক্ষমা চাইতে এসেছি; কামিয়াবি হতে এসেছি।
বুঝলাম, উদ্দেশ্য শুধুই আমি বুঝতে পেরেছি। তবে সবার থেকে অল্প অল্প উত্তর নিয়ে।

২/ এটা ৫২তম ইজতিমা। এর আগে আরো ৫১টা ইজতেমা হয়েছে। এত ধর্মপ্রাণ মুসলমান থাকতে দেশপ্রেমিকের ভাটা কেন? কেন স্বাধীনতার এত পরে এসেও ভেজাল খাবার খাই? কেন সামাজিক আন্দোলন গড়ে ওঠে না অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে? (সামাজিক আন্দোলন হচ্ছে সমাজের অরাজকতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা; রাজনৈতিক ব্যাপার-স্যাপার না)
ব্র‍্যাকেটে কথাগুলো বললাম কারণ ওনারা রাজনীতি ব্যাপারটা ভয় পায় অনেক। (তবে না বুঝেই ধানের শীষ, নৌকায় ছাপ্পা মারলে গুনাহ নেই; কুরআনে তো রাজনীতি নিয়ে বলাই নেই, তাদের মতামত আর কি)

৩/ তাবলীগ ভক্ত বন্ধুকে প্রশ্ন করেছিলাম, তোমাদের এত সমর্থক, এত ভক্ত। তাহলে কেন রেভ্যুলেশন বা বিপ্লব হয় না?
উত্তরে বলল, আরো বড় পরিসরে গিয়ে তারা বিপ্লব ঘটবে। তবে তারা কখনই রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করবে না। ক্ষমতা-নির্বাচন এসব দুনিয়াবি কাজকারবার। ভাল না এসব।
সুতরাং বিশাল এই জনপদকে সঠিক নেতৃত্ব দেয়ার মত নেতার অভাব। তাই ভক্তদের মুখ থেকে এসব উন্নাসিক কথা বের হয়।

৪/ সর্বশেষ কথা, বাংলাদেশ এমন একটা দেশ। যেখানে আস্তে আস্তে জিকির করা, নফল নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ পড়ে যাওয়া মানুষদের সুফি-সাধক ভাবে, তাদেরকে জায়গা করে দেয় যারা নরম কথা বলে, শক্ত কথা বলেই না।
আর অন্যদিকে, শক্ত ও সত্য হুজুরদের টকশোতে ২০ মিনিটের জায়গায় ১০ মিনিট কথা বলতে দেয়। ধর্মব্যবসায়ী বলে সবখানে মারে (ভাতে আর হাতে, দুইভাবেই)।
দুনিয়াবি অরাজকতার ব্যাপারে যেদিনই তাবলীগ ওয়ালাদের ঘুম ভাঙ্গবে, সেদিনই ১৬০ একর জায়গা ব্লক করে দেবে প্রশাসন। (So, বাবারা ঘুমিয়ে থাক আল্লাহর নাম নিয়ে)

Saturday, January 7, 2017

ভালো থেকো

জানোই হয়ত স্বর্গীয় সুখ আর নরকের নারকীয়তা ভেতরটা স্পর্শ করে না। স্বর্গলোক থেকে স্বপ্ন দেখাতে ঘুমের মধ্যে এসো না। দিন শেষ শুধু কোলাহলমুক্ত থাকাটাই আমার কাছে স্বর্গ। আর আরেক স্বর্গের দুনিয়া "মা"। হয়ত তাঁর ভালবাসায় এই পাপী বেঁচে আছে। আকাশ ছুঁতে চাই এই ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানাতে।
আর কখনও সামনে এসো না, স্বপ্নেও না; ধর্মীয় চাদর আচ্ছাদিত হয়ে। তোমার সৃষ্টিকর্তার কাছে আমার কিছু চাওয়ার নেই। যেই দুনিয়ায় থাকো, ভালো থেকো।

Monday, January 2, 2017

অজানা গল্প

কিছু গল্পের কোন নাটকীয়তা নেই,
কিছু নিঃশ্বাসের কোন মানে জানা নেই,
কিছু জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্নের কোন উত্তর নেই,
কিছু ভাল থাকার মিথ্যে অভিনয়ের কোন সংজ্ঞা নেই।
আর দেয়ালের ভেতরের গল্পটা সবারই তো অজানা!

Sunday, January 1, 2017

প্রার্থনা

অভ্রান্ত যেন আমার হয়
অনিমেষ যেন আমার রয়
অসম হোক আমার ঈর্ষা
অতল হোক আমার বিত্রিশা।

শীতল হোক আমার দু চক্ষু
গন্তব্য হোক সঠিক লক্ষ্য
বিনয়ী যাতনা গভীরে থাকুক
নতুন দিনে সবাই সুখে থাকুক

পথ চলা

অনেক ভুল ছিল, পিছুটান এখনও ছাড়েনি।
দৈন্যদশা এখনও বর্তমান।
নিমগ্ন হতাশায়।
জরাজীর্ণ কিংবা বিভাজিত হৃদয়।
তারপরও স্বপ্ন দেখবো,
আমাকে দেখতেই হবে।
আমাকে চলতেই হবে।
নতুন দিনে, নতুন প্রত্যাশায় হোক নতুন করে পথ চলা।

নতুনে ভুলি নাই

তুমি ফুরায়ে গিয়েছো কবে আমিতো চলে যাব; বলে, থেকে রয়েছি এতক্ষণ হারিয়ে যাবার গল্পে কে আগে? কে পরে? শুন্য আকাশ তলে আমি একজন, একা। তোমারি আশাতে ছ...