Saturday, April 29, 2017

অশেষবিধি


রক্তে আমার যুদ্ধের বিষ
উষ্ণ আমার নিঃশ্বাস।
উর্বর আমার দুই চক্ষু,
চাবুক ছটায় জর্জরিত বক্ষ
উত্তপ্ত আমার শাণিত দৃষ্টি,
শক্ত প্রতিরোধে রক্তের বৃষ্টি।
তবে আমি থামি; ধৈর্য্যের প্রতিফলে
আমি কাটাই আমার ক্ষিপ্রতা যত; কলাম লেখার বলে।
আমি দুর্বিনীত অশেষবিধি, বিপত্তিরই সুরে,
আমি সবার চোখের বিষাক্ত জাল; হটায় বহুদুরে।
আমি কতেক সময় অনেক বুঝি, কতেক সময় বলি
বলার জন্য শতেক বারই, একঘরতে চলি
তোষামোদের মধুর বাণী, আমায় দিয়ে হয় না।
বাজনা বাজাই আপনি ভালো, তেনার মত হয় না!!!
দিন শেষে মঠের ঘরে আমি ফিরে যাই,
রক্তের আগুন ধীর সুচিয়ে কলমে লাগাই।
২৯/৪২০১৭
(নজরুল স্মরণে আমার দ্বিতীয় কবিতা।ভালোবাসা আর শ্রদ্বা রইলো মহামানবের প্রতি)

Tuesday, April 25, 2017

কয়েদি

অনুসৃত অধমতায় বিব্রত নিজের সর্ব,
সমালোচিত আবহের শুরু হলো আরেক পর্ব।
বিনীত মনুষ্যত্ব মেনে নেয় না অপবাদ,
সেটুকু ঘৃণা করো তারে যেটুকু আছে খাদ।
ঘুচাতে দিও সময় তারে,
বাচঁতে দিও তারে পূর্ণ অভিসারে।
কারাগারে ছুড়ে দিয়ে দায়মুক্তির গল্প,
সুন্দ্রীলীয় দিন খোঁজা শুধুই জল্প।
স্বজাতিরা নিঁচু হয়, অপরাধ ছাড়া হায়!
বিচারক মাপে দোষ, যাবে ডানে নাকি বা'য়।
কলমের জোরে কত মানুষ বাঁচায়।
নির্দোষী পরে রোষে বাঁচিবার পথ খোঁজে,
যাবে কই? কোন পথে? খুঁজে ফেরে সহজে!
ক্লান্তির মুক্তি হয় না যেমন,
টিকে থাকার যুদ্ধে কয়েদিও তেমন।
অন্যায় থেকে দূরে থেকেও অপরাধী সেতো,
সমাজের ধিক্কারে কয়েদি ম্রিয়মাণ ততো।
বিচারহীন শিকের ফাঁকে, সুবিচারের খোঁজ,
আদালতের হেয়ারিং হবে, একই সুর রোজ।
হাতজোড় করে মাঙে মুক্তি,
জজের প্রতি মিথ্যে ভক্তি।
কমলাকান্তের গল্পেই চলে এখন সবকিছু,
কষ্ঠকাঠিন্য ছাড়ে না যেন সুবিচারের পিছু।
মিথ্যা সাক্ষী আর টাকা এক গাদা,
খুবই সোজা কারো প্রতি নতুন গল্প ফাঁদা।
ধর্মের শিক্ষায় সবারই আছে শেষ বিচারের তাড়া,
তবুও কেন সবার মাঝে ধর্মের দূত মরা?
২৫/৪/১৬ ইং

সুপ্রসন্ন তুমি দূরে

সুপ্রসন্ন তুমি দূরে,
অনুমতিহীন ভাবে যখন তুমি মিথ্যে বলো,
অপ্রকাশ্য তোমার কপটতার ঝুলি
অমিমাংষীত তোমার সহানুভুতি; তোমার বিচার,
তুমি ছিলে সংক্ষেপিত আলোর ঝিলিক মাত্র
এক মুহুর্তের জোনাক, বিমূর্ত করা এক শীতল বিজলী,
হঠাৎ হাসি-কান্নার সহচর; দেখোনি চেয়ে একবারও বর্তমানে,
আমি যে এক রাশ উচ্ছাস ছিলাম, এখন নির্জীব প্রতি পানে
তবুও এই আবহে যেন আমি বদলাই, যেন নতুন করে শিখতে পারি,
নতুন করে নিঃশ্বাস নিতে পারি; নতুন করে, আবারই নতুন করে।

নির্ঘুম রাতের পর্ব

অল্পতেই বিশ্বাসের উন্মাদনা আমার!
ক্ষণিকের প্রশান্তি; অতঃপর তাহার প্রস্থান,
নির্ঘুম রাতের পর্ব শুরু!
খানিকটা বিষঃন্ন, অদ্ভুত আমার আচরণ,
অন্ধকারের এক কোণে।
সাদা দুটো মার্বেল হাতে; বাহিরের আলো দেখার চেষ্টা!
চুলগুলোতে চোখ ঢেকে আছে, একপাশে সরাবার শক্তিও নেই।
এভাবেই প্রতিদিনের আলো দেখার চেষ্টা ব্যর্থ হয়; আমার!
প্রতিদিন......প্রতিমুহুর্তে......প্রতিক্ষণে্‌......!
অসম এক ক্রান্তিকাল.........!

Monday, April 24, 2017

"অ" এর গল্পঃ

অলীক স্বপ্নজালের অবাধ বিস্তার্য,
অসময়ের ভুল "তুমি" নিমিষেই পরিতাজ্য।
অমর হয়ে যায় তাঁর প্রথম আবেগ,
অসীমতটে বন্দী তাঁর পুরো বেগ।
অকূলে ভাসে আসামী যিনি,
অকাট্য অভিশাপে জর্জরিত তিনি
অমলকৃষ্ণ হয়েও সফেদ তার মন,
অভাগিনী কেন তোমার অদ্ভুত আস্ফালন?
অধীর ছিলে কতটুকু জানে না তো কেউ,
অশান্ত ছিলো জানি তোমার প্রেম ঢেউ!
অদখলে রাখি নিজের আত্মা সর্বস্ব,
অসম প্রেমেতে যেন না হয় নিঃস্ব।
অহেতুক আচরণ ছিলো না এথায়,
অতৃপ্ত তুমি এখনো চিৎকারে বৃথায়।
অবুঝ তুমি ভুগছো মন্থরতায়,
অসীম উত্তাল; হৃদয় ভাঙ্গার বাস্তবতায়।

১৮/০৫/১৭ইং

Friday, April 21, 2017

ওনার প্রস্থান

ঈশ্বর ভক্ত হুজুরের আত্মীয়টা অবশেষে আমার উপস্থিতি টের পাইয়া জায়নামাজ খানা গুটাইলেন। তির্যক চোখে চাহিয়া দৃষ্টি আকর্ষণের ব্যর্থ চেষ্টার পর আরাধনালয় ছাড়িয়া অন্যত্র চলিয়া গেলেন। নামিয়া যাওয়ার সময় আপনার মুখ দেখিয়া বুঝিলাম, যতগুলো "মিথ্যাত্মা"র জন্ম আপনি তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে দিয়াছেন, তাহা শুধাইতে মাথা ঠেকাতে আসার পথে আমিই যেন আপনার মাথা আগে ভাঙ্গিয়া দিয়াছি। প্রভুপরায়ণও ক্ষমার্হ চোখে দেখেন কিনা, তা তিনিই ভালো জানেন।

Thursday, April 20, 2017

ইমেজ বাঁচানো

ভুল শোধরানোর জন্য মানুষ সুযোগ চায়। তবে কেউ যদি ভুলই না করে, মানুষ নিজের কল্পনা দ্বারা ভুল বোঝার চেষ্টা লিপ্ত থাকে, সন্দেহ করে বা শেষ পর্যায়ে অপমান করে বসে। সেইক্ষেত্রে তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে আসাকে নিজের "ইমেজ বাঁচানো" বলে। এই সরে আসার নীতি বাদীকে প্রথম পর্যায়ে কোন ঝামেলায় না ফেললে শেষ পর্যায়ে বাদীপক্ষ ঠিকই শুণ্যতাটুকু বুঝতে পারে। ক্ষুদ্রতর থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিশৃঙ্খলা মোকাবেলায় তাঁকে দেখা যায় না। শক্ত হাতে দমন করাটা যখন সবার কাছে ডিক্টেটরি ছিলো, এখন বিশৃঙ্খল উপরাজনীতি যেন শান্তিপূর্ণ আবহ!

Saturday, April 15, 2017

হাসপাতালে যখন

পাথরে মোড়া শক্ত শরীর
দুহাত যে নিথর,
চোখের কোণে জল নিমেষেই মুছে
অবাক অনাদর।
জীবন্ত শোক ক্যানভাসে ভাসে
রুদ্ধ ক্লান্তিকর।
হাজার আত্মা কেঁদে ভাসে
হাসপাতালের মর্গে
অনেকদিনের হিমে রাখা
যাবে সে কি স্বর্গে?
এত যন্ত্রণা কেন হেঁটে বেড়ায়
চারপাশের আমার,
ঘুমের মধ্যে কত মানুষের মুখ
দেখা দেয় বারবার!
সকালের সুন্দর দিনে
আমি খুব পরিপাটি,
খাবার টেবিলে আমার পাশে
বুড়োর প্লেট খালি!
শুকনো রুটি মুখে রেখে
লোক দেখানো সুখী সাজে,
আমার পাতের খাবার দিলে তাকে
অনেক খুশিতে কেঁদে হাসে।
অপারেশন থিয়েটারে মা-বাবা
থাকে আমার পাশে
বৃদ্ধজন একাই থাকে
ওয়ার্ডবয় ছাড়া কে আসে?
14/4/2017 7.19 pm

Thursday, April 13, 2017

জীবন

জীবন???
সে তো অনন্ত নদী,
সে যে দেয়ালহীন আকাশ,
কিংবা বিরামহীন বাতাস,
সে তো কিছু সুখ-দুঃখের সমষ্টির সম্মেলন,
কারো কাছে শুধু বেঁচে থাকা,
কারো আবার হাজারো দীর্ঘনিঃশ্বাসের মিছিল।
কারো কাছে ভয়কে জয় করা,
কারো আকাশচুম্বী হওয়ার তেষ্টা!
এটাই জীবন!

Wednesday, April 12, 2017

প্রতিমূর্ত প্রাণ

ঈশ্বর শুধু তোমার চাওয়া গন্য করলো
সর্বদা সুখের মন্ত্র অকার্যকর আমার শত চাওয়াতেই,
দ্বিমগ্ন হয়ে নিদারুণ কর্তব্য পালন আমি চাই না
তাই হয়ত হারিয়েছি "তুমি" দমকা এক হাওয়াতেই।
আমি পালহীন নৌকা; ঢের জানি
নিঃশঙ্কচে হারিয়ে যাবার ইচ্ছেটাও গভীর,
জোয়ার ভাটার সেই ভালোবাসা আজ ধোঁয়াটে
রঙ্গহীন কাব্যে সব উপাদানও স্থবির।
যে শহরে নেই "তুমি", আছে হারাবার গান
সে শহর বিষাক্ত-বিভ্রান্ত, অনুভূতিরা ম্লান।
দুয়ারে দুয়ারে কড়া নেড়ে ফিরে গেছি কত আগে।
খোলোনি দুয়ার, নিরব থেকেছি, হৃদয় কাটলো দাগে।
ভাল থাকার মন্ত্র জানি, জানিনা সুখী কিনা
ভালো বলেই আমরা কেন বাজাই বিরহের বীণা!
নিত্য সুখীরা দম্পতিময়, দম্ভ থেকেও কম কি?
অব্যক্ত আমি সবখানেই, রুদ্ধতাপে বন্দি।
নই আমি ধর্মরাজ্য নইবা মহাপুরুষ
বিষের বাঁশী প্রতিক্ষণে যেন বাজে,
শক্তিধর আমি যেন নিঃস্পৃহ মাঝে মাঝে।
সেদিনের কথাগুলোতে ছিলো না অগোছালো ভঙ্গি
ছন্দপতন এড়িয়ে যাওয়ার খেয়াল ছিল,
আনমনা ভাব থেকে দূরে ছিলাম
স্থির আর আমার মাঝে থাকতো অসীম মিল।
অবাক করা প্রশ্নবাণে আমি নিঃশ্চুপ
দীর্ঘ হচ্ছে আমার মুহুর্ত,
শেষ বিকেলের গ্লানিটুকু এড়িয়ে যাই
শতেক অনুভূতি তাপে আমি এখন প্রতিমূর্ত।

Monday, April 10, 2017

একা

দিন-খন একা যার
নির্ঘুম একা তার
যখন বিছানায় পড়া,
কথাহীন কাব্য,
অলিখিত শ্রাব্য
যখন আমি আধমরা।
চেনা সুখ অচেনা
অপেক্ষারা ঘোচেনা
কবে যাবো বাড়ী।
সুন্দর সুস্থ
সকাল কবে দেখবো
দেখবো কাজের সারি।
ব্যস্ততা ভালো রাখে
সব থেকে খুব,
অশান্তির মৃতমেলা
থেকে দেয় ডুব।

Saturday, April 8, 2017

আকাশ দেখা

চলার পথে থমকে যাওয়ার আগেই
উপরে তাকাই...!!!
আকাশ দেখি; শূন্যতার পর ছাদ হয়ে সবাইকে আগলে তো সেই রাখছে। এটাই তার বিশালতা!!!

Sunday, April 2, 2017

ঈশ্বরের অষ্টাদর্শী প্রাণী

ঈশ্বরের সৃষ্টিধর এখনও বিস্ময়ের জন্ম দেয়!
বিস্মিত করা কিছু সৃষ্টি ঈশ্বরের কপোট প্রেমে মগ্ন!
দুনিয়ার সামনে সুচারু সাজে, অসহায়ের কান্না কাঁদে প্রতি আপদে।
নিমগ্ন থাকে অহেতুক অনুতপ্তে। নিঃসঙ্গতা কাটাতে মাথা মোটা প্রাণী খোঁজে। প্রয়োজন শেষে দু'লাইন লেখা কাগজের মত মুচড়ে পেপার ডাস্টবিনে ছোঁড়ে। চিকন বুদ্ধি দিয়ে মাথা মোটাকে বশ করে, কথার যুক্তিতে শক্ত রাখঢাক রেখে মাথা মোটাকে পরাস্ত করে।
আমি ঈশ্বরের সিজদা না করে নরকের বাসিন্দা আর তুমি অষ্টাদর্শী প্রাণী খোদার বন্দনা করে চলে গেলে স্বর্গে...

নতুনে ভুলি নাই

তুমি ফুরায়ে গিয়েছো কবে আমিতো চলে যাব; বলে, থেকে রয়েছি এতক্ষণ হারিয়ে যাবার গল্পে কে আগে? কে পরে? শুন্য আকাশ তলে আমি একজন, একা। তোমারি আশাতে ছ...