Sunday, February 10, 2019

সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ গাইড

"সাজেক ভ্যালী" মেঘের দেশ কিংবা বাংলাদেশের ছাদ। যেটাই বলিনা কেন। অপরুপ সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই।

ঢাকার ফকিরাপুল থেকে রাত ১০.৪৫ এ শ্যামলী পরিবহনে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। আমরা ছিলাম ৯ জন। জন প্রতি ভাড়া ছিলো ৫২০ টাকা। ভোরে বাস কাউন্টারে নামাবে আপনাকে। খাগড়াছড়ি নেমেই ফিরতি টিকেট কেটে রাখবেন। তা নাহলে মহাবিপদে পড়ে যাবেন।
১/ শাপলা চত্বরে চাঁদের গাড়ির দাম চড়া দেখে চলে আসতে হলো দীঘিনালায়। সেখান থেকে সকালের নাস্তা সেরে, চেপে বসলাম চাদের গাড়িতে। এরা সবাই আমার বন্ধুমহল। যেতে যেতে সকল খরচ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। সুতরাং আশা করি ভিডিওটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত দেখবেন।
২/ পাহাড় আর ঘন সবুজের মাঝে মেঘের মিতালী দেখতে হলে আপনাকে সাজেক আসতে হবে।
আসার পথে প্রথমেই নামবেন হাজাছড়া ঝর্ণা দেখতে। ঝর্ণার আসল সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন বর্ষাকালে।


৩/ সাজেক এমন একটি স্থান যেখানে অন্যরকম এক আবহাওয়া, নতুন এক জনপদ আর রুচিবোধের সাথে পরিচয় হবে আপনার।
যাই হোক, এখন মূল আলোচনায়।
শাপলা চত্ত্বরে চাঁদের গাড়ীর দাম চড়া মনে হচ্ছিলো। দীঘিনালায় এসেও ৮৭০০ টাকার গাড়ি ৬০০০ টাকায় দরদাম করি। আসলে গাড়ি দামাদামি করাটা আপনার নিজের কাছে, দামাদামি করে যত কমে গাড়ি নিতে পারেন। একান্তই নিজস্ব দক্ষতার প্রয়োজন আছে। কারো রেফারেন্সে এলেই যে কমে, দরদাম করা ছাড়া গাড়ি পাবেন সেটা বলা যায় না।
৪/ আমরা উঠেছিলাম হিমালয় রিসোর্টে।
চালকের পরিচিত বিধায় ডাবল বেডের রুম ভাড়া ১৫০০ টাকা রেখেছিলো। আমরা ২টি পৃথক রুম ভাড়া নিয়েছিলাম। জনপ্রতি আমাদের খরচ হয়েছিলো ৩০০ টাকার কিছু বেশি। আর আমাদের বারান্দার ভিউটা ছিলো ঠিক এই রকম। আর প্রতিবেলা খাবারের অগ্রিম অর্ডার দিয়ে রাখতে হবে। প্রতিবেলায় জনপ্রতি ১৬০-২০০ টাকা খরচ হবে। আর হ্যাঁ দীঘিনালা কিংবা খাগড়াছড়ি শহর থেকে পানি কিনে নিয়ে যাবেন। সাজেকে পানির দাম একটু বেশী।
৫/আর হ্যাঁ এই ছিল আমাদের চাঁদের গাড়িটি। জাস্ট পাওয়ারফুল একটা রোলার কোস্টার।
৬/ বিকেলে গিয়েছিলাম হ্যালিপ্যাডে। হেঁটে গেলে ৫ মিনিট।
রাতের সাজেক এক অদ্ভুত সৌন্দর্যে আবির্ভূত হয়। ক্যামেরার ভিডিও কখনই আপনাকে তৃপ্ত করবে না যতক্ষণ না নিজের চোখে সাজেক দেখবেন।
এখানে জেনারেটর দিয়ে সন্ধ্যা ৭টা-রাত ১০টা ও সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। বাকী সময়টুকু সোলারের বিদ্যুৎ চলে। তবে ব্যয়বহুল রিসোর্টগুলো এর ব্যতিক্রম হতে পারে।
৭/ সকালে কংলাক পাহাড়ে অবস্থান করে দেখে আসতে পারেন মেঘের খেলা। চাদের গাড়ি আপনার সাথেই যাবে। সকাল ৮.৩০ এ রিসোর্টে ফিরে নাস্তা সেরে নিলাম সবাই। ১০.৩০ এর মধ্যে আমাদের বের হতে হবে। তা নাহলে আবার বিকেল ৩টায় স্কোয়াডে যেতে হবে।
৮/ যেতে যেতে ছোট বাচ্চাগুলোর হাত নেড়ে বিদায় জানানো দেয়া আপনার মনে এক অপরিসীম শূন্যতার জন্ম দেবে। এই অনুভূতি দু এক ফোটা অশ্রু ঝরাবেই। পাহাড় আর ছোট ছোট টিলাগুলো আপনাকে শহরের কোলাহলে ফিরে যাবার আহবান জানাবে।
সাজেক থেকে বের হয়ে খাগড়াছড়ি শহরে ছড়িয়ে পড়লাম। তেরং হ্যালিপ্যাড থেকে পুরো শহরটা দেখতে পারবেন।
এরপর যাবো ট্যুরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান আলুটিলা গুহায়। ১০ টাকার টিকেট আর ১০ টাকার মশাল নিয়ে আমরা প্রস্তুত। এখান থেকেও পুরো শহরটা দেখতে পারবেন। রোমাঞ্চকর এক অনুভূতি পাবেন সেখানে।
৯/ এরপর আপনাকে নিয়ে যাবে হলিকালাচার পার্কে। টিকেটের মূল্য ২০ টাকা। চার্জ না থাকায় এখানকার ফুটেজ নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে এখানে ঘুরতে ঘুরতে বিকেল হয়ে যাবে। সন্ধ্যার আগেই টিকেট কাউন্টারে আপনাকে নামিয়ে দেবে চাদের গাড়ি। পূর্বনির্ধারিত কেটে রাখা টিকেটে ঢাকা ফিরে যাবেন। আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে খরচের তালিকাটা ভিডিও ডেস্ক্রিপশনে আবার দিয়ে দিলাম।

















































1 comment:

নতুনে ভুলি নাই

তুমি ফুরায়ে গিয়েছো কবে আমিতো চলে যাব; বলে, থেকে রয়েছি এতক্ষণ হারিয়ে যাবার গল্পে কে আগে? কে পরে? শুন্য আকাশ তলে আমি একজন, একা। তোমারি আশাতে ছ...