গল্পে তুমি

গল্পে তুমি চাইছো যখন সবকিছুতে বিয়োগ,
হার না মেনে বারবারই আমি খুঁজি যাই সুযোগ।
চোখের ভাষা আড়াল করে যাই যে প্রতিদিন,
আমার প্রতিমুহূর্তের পরীক্ষাগুলো খুব যে কঠিন।
মোহের বয়সতো নেই যে আর ডুবে থাকব প্রেমে,
হৃদয় গ্রহে জায়গাটুকু তোমার যাবে না যে কমে।
স্বপ্নিল এক রাজ্যে গড়েছি আমার রাজমহল,
চাইলেই কেউ পারবে না, হতে দেবো না দখল।

ঘেন্না জাগে

ক্ষণে ক্ষণে মনে দামামা বাজে
বৃদ্ধ-জ়োয়ান যুদ্ধে জাগে,
শশান ঘাটের লাশ পুড়িয়ে
আমার তান্ডব থামে।

তোর মৃত্যুর পর ছিঁড়ে দেই
দুটি চোখের কোঠর,
তুই অপরাধী খুব তাই বলে মোর
ভাঙ্গে না রাগের জঠর।

তোর শেষ নিঃশ্বাসের পরেও কাঁটি
সারা সর্বাঙ্গ,
তবে যথাসুখের আশ্রয় ছিল
আমি পাশান অনুসর্গ।

ধ্বংসযজ্ঞ শেষে করে যখন
ছেঁড়া হাত পা কুড়াই,
মনে মনে খুব ঘিন্না জাগে
তোকে এভাবেই পাড়াই।

পাগল

শুকনো রুটির শক্ত লোকমায়
একটু খানি গুড়,
পথের ধারে স্বচ্ছ জলে
পিয়াস করলো দূর।
জরাজীর্ণ জামার ভাঁজে
হাজার তালি ছাঁপ,
পুরানো হাতের লাঠি
তার হাজার পরিতাপ।
একমনেতে হাসে আবার; এক মনেতে কাঁদে
ঘুমের জন্য পায়না জায়গা; ঘোরে রাত বিরাতে।
বাস্তুহারা সেই বুড়োকে ডাকত
কেউ বা পাগল,
কারো দেয়া খাবার পানিতে
সামলাতো না বার্ধক্যের ধকল।

অনেক ভালোবাসি তোমায়

মরণটুকুও কেন পায়ে পড়ে কাঁদে
তবুও জীবন তুচ্ছ যেন প্রেম স্বাদে
ভালোবাসি তোমায়, খুব ভালোবাসি
তাই হয়ত তোমার দুয়ারে বার বার ফিরে আসি
কঠিন দিনে তুমি কেঁদেছো
আজ আমি কাঁদছি তোমার জন্য
ভালোবেসেই হোক জীবন ধন্য
তুচ্ছ আমি নিরুপায় হয়ে
মরে যাই বার বার তোমার লয়ে
খুব যে ভালোবাসি তোমায়,
যেখানে নিঃশ্বাসের শান্তিতে খুঁজি শুধুই তোমায়।
আমি অন্ধ আসিফ আজ,
তরল হয় আমার আগুন মেজাজ।
তোমার হাসিতে নিজেকে ডুবাই
তোমার হাসিতে সঁপে দেই
আমি তোমার কান্নায় জয় করি তোমারেই।
আমার অন্তর শুধু বন্দি তোমার সনে
কেউ না জানুক পাগল তোমার জন্যে।।।